দেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতাকে দলীয় প্রভাব মুক্ত করতে ১৩ দফা দাবি তুলেছেন গণমাধ্যম।এ ১৩ দফা দাবির পক্ষে শুক্রবার(৯ই আগস্ট ২০২৪ইং)আরিফুল সাজ্জাত ও আহম্মদ ফয়েজ এক যৌথ বিবৃতি এসব তথ্য তুলে ধরে।এতে বলা হয়েছে ১৩ দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোকে আগামী তিনদিনের মধ্যে দলীয় লেজুড়বৃত্তি ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। তবে এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোর দলীয় লেজুড়ভিত্তির কারণে সাংবাদিকতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।তাছাড়া বিভক্ত সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো দীর্ঘদিন ধরে গণমাধ্যম ও কর্মীদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ।এর সুযোগ নিচ্ছে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী।যার কারণে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাধারণ গণমাধ্যমকর্মীরা আক্রমণের শিকার এবং নিহতও হয়েছেন। একইসঙ্গে গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের আস্থা প্রশ্নবিদ্ধ এবং জাতির কাছে অবিশ্বাসের পাত্রে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।তবে এ অবস্থার অবসান অতি জরুরি।এই বিবৃতিতে ১৩ দফা দাবিগুলো বলা হয়েছে-
১.ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিহত সাংবাদিকদের হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
২.ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঘিরে আহত গণমাধ্যমকর্মী ও আক্রান্ত গণমাধ্যমকে ক্ষতিপূরণ বাধ্যতামূলক দিতে হবে।
৩.গণমাধ্যমের যেসব মালিক ও নির্বাহীরা গণমাধ্যমকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছে, তদন্ত সাপেক্ষ তাদের’কে জরুরী ভাবে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৪.গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য অভিন্ন ওয়েজবোর্ড প্রণয়ন করতে হবে।অনতিবিলম্বে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫.শ্রম আইন অনুযায়ী লভ্যাংশ বন্টন করতে হবে।
৬.উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অগণতান্ত্রিক উপায়ে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের দখলদারিত্বের যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
৭.গণমাধ্যম কর্মীদের সর্বস্তরের ভয়ভীতি বন্ধ করতে হবে।
৮.গণমাধ্যম পরিচালনার ধরণসহ সার্বিক বিষয়ে সংস্কারের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করতে হবে।
৯.গণমাধ্যম ও স্বাধীন মত প্রকাশ বিরোধী নিবর্তনমূলক আইনের সব ধারা বাতিল করতে হবে।১০.আইসিটি,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।১১.সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাসহ সব হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।১২.বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের গুম,নির্যাতন ও হয়রানির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় দার করতে হবে।
১৩.সব গণমাধ্যম যেন গণমানুষের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতে পারে সে নিশ্চয়তার বিধান করতে হবে।