সাভার প্রতিনিধি।
আশুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার মন্ডলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলো এলাকাবাসী।আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি কেউ।গত ৫ই আগষ্ট ২০২৪ইং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর গা-ঢাকা দিয়েছেন আনোয়ার মন্ডলও।তাই তার অপকর্মের বিরুদ্ধে এখন মুখ খুলতে শুরু করেছেন এলাকাবাসী।সরেজমিন তথ্য সুত্রে জানাযায়,ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা:এনামুর রহমানে নাতি হিসেবে এলাকায় পরিচয় দিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন এই আনোয়ার মন্ডল।তার আগে মুরাদ জংয়ের মধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন তিনি।গত ১৫ বছরে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন আনোয়ার মন্ডল।এলাকায় ভূমিদস্য হিসেবে পরিচিত আনোয়ার মন্ডল চাঁদাবাজি শুরু করে ২০০৯ইং সাল থেকে।ওই সময়ে এলাকার অনেকে আমীন মোহাম্মদ গ্রুপের সাথে ব্যবসা করত।তখন আনোয়ার মন্ডল সন্ত্রাসী নিয়ে তাদের ব্যবসা থেকে উচ্ছেদ করে দেয়।অনেকের বালির পাইপ লাইন ফেলে দেয় এবং অফিসে ভাঙচুর করে এলাকায় তার শক্তিরজানান দেয়।তার পর থেকে এলাকার মানুষের জমি দখল শুরু করেন এবং পুলিশ দিয়ে মানুষকে ভয় দেখানো শুরু করে।এছাড়াও সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর মন্ডল তার আপন মামাতো ভাইয়ের জানাজায় অংশগ্রহণ করতে গেলে সেখানেও আনোয়ার মন্ডল পুলিশ দিয়ে তাকে ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।সাবেক সংসদ সদস্য ডা:এনামুর রহমানে নাম ভাঙ্গিয়ে আশুলিয়া ইউনিয়নের গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন কলকারখানা থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।তাছাড়া কেউ চাঁদা না দিলে তাদেরকে ধরে চাঁনগাও মোড়ে তাদের আস্তানায় নিয়ে নির্যাতন করতেন তিনি।এছাড়াও রাত হলে সেখানে মদের আসর বসাতো বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসি।এদিকে গত জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় পুলিশ দিয়ে হয়রানি করত এই আনোয়ার মন্ডল।এমনকি তাদেরকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দিতেন তিনি।এখন ভুক্তভোগীরা আনোয়ার মণ্ডলের বিচার দাবি করে করেন অসংখ্য আনোয়ার মন্ডলের নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।