বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রভাবশালী ৬৫ জন সাবেক মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে(দুদক)আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন।(১৮ই আগস্ট ২০২৪ইং)দুর্নীতি দমনকমিশন(দুদক)চেয়ারম্যানের কাছে তাদের তালিকা ও অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করে এ আবেদন করেন।এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদকে)করা এই আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদকে’র)সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন,(দুদক)কমিশনে অভিযোগ করে থাকলে দুর্নীতি দমন কমিশনে সেটি তার বিধি অনুযায়ী বিষয়টি দেখবেন,তাছাড়া এটা কমিশনের নৈমিত্তিক কাজ।তবে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)সুনির্দিষ্ট সঠিক তথ্য পেলে অবশ্যই অনুসন্ধানে মাঠে কাজ করবে।এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনের পাঠানো আবেদনে ৬৫ জন আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক এমপি’র নাম উল্লেখ করে অভিযোগ আনা হয়।তাছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন গত ৫ থেকে ১৫ বছরে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তাদের সম্পদ বৃদ্ধির একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন এই আবেদনের মাধ্যমে।তবে পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়,গত ১৫ বছরে মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে কারও আয় বেড়েছে,কারও বেড়েছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ। এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০০ গুণ থেকে কয়েক হাজার গুণ বেড়েছে সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের সম্পদ।এইদিকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনের দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদকে)তার পাঠানো আবেদনে সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে নাম রয়েছে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী,সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু,সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক,সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি,সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান,সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।এছাড়া এই পাঠানো আবেদনে আরো যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে-জুনাইদ আহমেদ পলক,মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল,খালিদ মাহমুদ,চৌধুরী ফরিদুল হক,গোলাম দস্তগীর গাজী,ইমরান আহমদ,জাকির হোসেন,কামাল আহমেদ মজুমদার,জাহিদ আহসান রাসেল,নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন,শাজাহান খান,হাছান মাহমুদ,কামরুল ইসলামসহ হাসানুল হক ইনুর নামও রয়েছে।সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে এই তালিকায় রয়েছেন—সাবেক সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ,সরওয়ার জাহান, শরিফুল ইসলাম জিন্না,শহিদুল ইসলাম বকুল,শেখ আফিল উদ্দিন,ছলিম উদ্দীন তরফদার,কাজী নাবিল আহমেদ,এনামুল হক,মেহের আফরোজ চুমকী,নূর আলম চৌধুরী শাওন,শেখ হেলাল উদ্দীন,স্বপন ভট্টাচার্য,কাজিম উদ্দীন আহমেদ,কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা,মুহিবুর রহমান,মামুনুর রশীদ কিরনসহ জিয়াউর রহমান প্রমুখ।নির্বাচনী হলফনামার তথ্য নিয়ে টিআইবির করা এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে এই আইনজীবী তার চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, টিআইবির সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।এমন সম্পদবৃদ্ধির চিত্র রূপকথার গল্পকেও হার মানায় বলে মন্তব্য প্রকাশ করেন।অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরও দুদক অনুসন্ধান শুরু না করায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ন করে এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।এ বিষয়ে দ্রুত অনুসন্ধান করতে অনুরোধ জানিয়ে তিনি চিঠির সঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের অনুলিপিও যুক্ত করেছেন বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন।