সাভার প্রতিনিধি:
সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী ইয়মিনের পরিবারকে সমবেদনা ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের পক্ষ থেকে।বুধবার সকালে সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক টাউনে পরিবার নিয়ে বসবাসরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে থাকা অবস্থায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।এদিকে আন্দোলনের পুলিশের গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী ইয়ামিনের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আ.ন.ম শামসুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ ইজ্জত উল্লাহ।পরে পরিবারের সাথে কুশল বিনিময় শেষে সাভার পৌর এলাকার তালবাগ,ডগরমোড়া,স্মরণিকা,ডেইরি ফার্মসহ আশুলিয়া থানাধীন পলাশবাড়ি এলাকায় আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহতদের বাড়িতে খোজখবর নেন বাংলাদেশ জমায়েত ইসলামের নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য আ.ন.ম শামসুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ ইজ্জত উল্লাহসহ আরো অসংখ্য জামায়েত ইসলামের নেতাকর্মীরা।এসময় তারা পরিবারের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে গভীর সমবেদনা জানান,এছাড়াও পুলিশের গুলিতে নিহত শিক্ষার্থীদের কবর জিয়ারত এবং নিহতদের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন।তবে প্রত্যেক নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারগুলোকে বিভিন্ন অংকের আর্থিক সহায়তা প্রধান করা হয়।এছাড়াও ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের নায়বে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য আ.ন.ম শামসুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আ.ন.ম শামসুল ইসলাম বলেন,সারাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারগুলোর আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।তাছাড়া জামায়াতে ইসলামী সব সময় তাদের পাশে আছে এবং থাকবে।এছাড়াও বাংলাদেশ জামায়েত ইসলাম দলের সব জেলার নেতাকর্মীদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।তবে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে ঢাকা জেলা উত্তর জামায়াতের আমির আফজাল হোসেন, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল রউফ,সেক্রেটারি শাহাদাত হোসেন,সাভার পৌর আমির আব্দুল আজিজ,সেক্রেটারী আব্দুল কাদের,শিবিরের জেলা সভাপতি আবু সুফিয়ান প্রমুখসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।তাছাড়া বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন কয়েক শত জামায়াত শিবিরের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।