শাহাদাৎ হোসেন সরকার(আশুলিয়া):
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে শিক্ষার্থীদের তাজা প্রাণের বিনিময়ে(৫ই আগস্ট ২০২৪ইং)পতন হয় হাসিনার সরকার।স্বাধীন হয় দেশ,তৈরী হয় আরেকটি বাংলাদেশ।এরপর ক্ষমতায় আসে অন্তবর্তী কালীন সরকার,মাঠে আসতে শুরু করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।এদিকে হাসিনার সরকার পতন হলে আওয়ামী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দিতে শুরু করে নিহতদের পরিবার অসহায় হয়ে পরে আওয়ামী নেতাকর্মীরা।এই সুযোগে আওয়ামী নেতাদের সাথে সখ্যতা করে বিএনপি সহযোগী সংগঠনের ঢাকা জেলা বিএনপি যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কিছু কথিত নেতা কর্মীরা দখলে নেয় পুরো ইপিজেড গার্মেন্টস ঝুট ব্যবসা।দখলে নেয় ডিস ইন্টারনেট ব্যবসা সহ বাহিরের একাধিক গার্মেন্টস কারখানার ঝুট ব্যবসা।ইতিমধ্যে গত(২০শে আগস্ট ২০২৪ইং)ডি ইপিজেড শান্তা গ্রুপের একটি ফ্যাক্টরির ঝুট ব্যবসা দখল নিয়ে ঝামেলা হয় ঢাকা জেলা বিএনপি যুবদল ও জাতীয়তাবাদী বিএনপি'র সাবেক সংসদ সদস্যদের গ্রুপের মধ্যে।অন্যদিকে আশুলিয়ার গোড়াট এলাকায় ডেমনিয়ার গার্মেন্টস,ইয়াগী বাংলাদেশ,জেনারেশন গার্মেন্টস ও ইউসুফ মার্কেট,সিকমা গার্মেন্টস।দখলে নেওয়ার জন্য মালিক পক্ষকে ফোন দিয়ে ভয় ভিতি দেখিয়ে ঝুট ব্যবসা ছিনিয়ে নেওয়ার পায়তারা করছেন মোঃ জিল্লুর রহমান(সভাপতি সেচ্ছা সেবক দল)আশুলিয়া থানা। আলিম মন্ডল পিতা মজিত মন্ডল,দেলোয়া মন্ডল
(কেতু)সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ঢাকা জেল ছাত্র দল)পিতা হলিম মন্ডল,গোরাট।মোঃ সবুজ সরকার
(ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদল,আব্দু্ল ওহাব(সাবেক মেম্বার)সভাপতি শ্রমিক দল আশুলিয়া থানা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে ফোন দিলে তার বলেন এই ঝুট ব্যবসার ঝামেলায় আমরা আতঙ্কিত।আগে ঝুট নিতআওয়ামী লীগ এখন ঝুট ব্যবসা চাচ্ছেন বিএনপি।এবিষয়ে জাতীয়তাবাদী বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন বিএনপি'র কোন নেতাকর্মী দখল বাণিজ্য সহ কোন অপরাধ কর্মকাণ্ড জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে নেওয়া হবে দলীয় কঠোর ব্যবস্থা। করা হতে পারে দল থেকে বহিষ্কার ।অথচ দলীয় নির্দেশনাকে অমান্য করে দখল বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে এই চক্রটি অন্যদিকে দল গোছাতে ব্যস্ত ত্যাগী নেতাকর্মীরা।বিএনপির ত্যাগি নেতা কর্মীরা জানান এখন যারা দখল বানিজ্য করছে তারা কখনোই বিএনপি'র ভালো চায়না এরা সুবিধাবাদী এদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।এদিকে ফেসবুক লাইভে এসে এদের কর্মকান্ডে আত্মহত্যার হুমকি দেন ইলিয়াস শাহী সভাপতিধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপি।এবিষয়ে তিনি ক্ষোপ প্রকাশ করে বলেন আমরা দল করেছি জমি বিক্রি করে,নিজের টাকায়,দল করতে গিয়ে ক্ষতি করেছি লক্ষ লক্ষ টাকা।আর এরা আছে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত, সৈরাচার হাসিনার সরকারের সময় হারিয়েছি আমার ব্যবসা বানিজ্য।তৎকালীন দলীয় প্রোগ্রামে টাকা দিয়েও বিএনপি'র কর্মী পাওয়া যেত না।এখন এরা কারা,মনে রাইখেন এদের দায়বার বিএনপি কিন্তু নেবে না।সুশীল সমাজ মনে করছেন এই মুহুর্তে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাতে জরুরি নজর দেওয়া প্রয়োজন।এদিকে দখল বাজ যে দলেরই হোক কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না,সে যেই হোক তাদের কে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন মোঃ নাহিদ হাসান বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কারী এবং উপদেষ্টা ডাক ও টেলিযোগাযোগ সহ তথ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়।