নিজস্ব প্রতিবেদক।
কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সম্পাদক সাইদুল রহমান(৪০)বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ জমি দখল ও মারধর এর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মোঃ আব্দুল বারেক ও তার স্ত্রী নাছিমা বেগম।তাছাড়া এবিষয়ে গত রবিবার বেলা১.৩০ ঘটিকার সময় সাভার উপজেলারতেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ দত্ত পাড়ার বাসিন্দারা জানান।বৈষম্য ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতনের পর সাইদুল রহমান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে চাঁদাবাজি,মারধর ও অবৈধভাবে মানুষের জমি দখল সহ নানান অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন।এছাড়াও তেতুলঝোড়া ইউনিয়নের রাজ ফুলবাড়ীয়া বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় ও সংখ্যালঘু পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট-হামলাসহ জমি দখল ও দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের হয়রানি সহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সহ সম্পাদক সাইদুল রহমান।এছাড়াও দলের ত্যাগী নেতাদের সরিয়ে দিয়ে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় নানা অপকর্মের রাজত্ব কায়েম করছেন তিনি।এদিকে ভুক্তভোগী মোঃ আব্দুল বারেকের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,বিএনপির নেতা সাইদুর রহমান তার নিজস্ব ভাড়াটে সন্ত্রাসীর মাধমে নিজে উপস্থিত থেকে আমার বাড়ি ভাংচুর করে এবং আমাকে সহ আমার স্ত্রীকে মারধর করেন,তাছাড়া ঘটনার সময় আমার ভাতিজা সাভার কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র শিমুল আহাম্মেদ এগিয়ে আসলে, বিএনপির নেতা সাইদুর রহমানের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ভাতিজা উপর হত্যার উদ্দেশে হামলা করে,পরে হামলায় শিকার আমার ভাতিজা শিমুলেকে রক্তাক্ত অবস্থায়উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মাথায় ১০ টি সেলাই করা হয়েছে।এছাড়াও আমার সন্তানদের'কে উঠিয়ে নিয়ে যাবে বলে প্রতিনিয়তই হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।এমন তো অবস্থায় আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।তবে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে আমি বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় কেরানীগঞ্জ থানার বিএনপির সহ-সম্পাদ'কে প্রধান আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।এদিকে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আতিকুর রহমানের কাছে ঘটনার অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি ঘটনার বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।