আশুলিয়া প্রতিনিধি:
সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত আসামি মো:আমির হোসেনকে (৩২)আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব-৪) শনিবার(২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং)দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪,সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো: জালিস মাহমুদ খান।এর আগে গতকাল রাতে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়া এলাকায় র্যাব-৪ ও র্যাব-১০ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয়।গ্রেপ্তার কৃত মো: আমির হোসেন চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার দক্ষিণ মান্দারতলী এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে।তিনি লেনদেনের বিষয় নিয়ে বিরোধের জেরে হোসেন’কে (১৪)অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।এছাড়াও আরো র্যাব জানান,হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত পলাতক আসামি(বন্দি নম্বর১০১৯) আমির হোসেন(৩২)অপহরণ ও হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একজন আসামি,তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত(৬ই আগস্ট ২০২৪ইং)কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যান।পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেন এবং স্থান পরিবর্তন করেন।র্যাব আরও জানায়,নিহত হোসেনের (১৪)সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে লেনদেনের বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল আসামি আমির হোসেনের।পরে তার বন্ধু নুর আলম,রিপন ও তাদের সহযোগীদের নিয়ে হোসেনে ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে।এরই ধারাবাহিকতায় গত২০১০ইং সালের ৫ই জুন দুপুর ১ঘটিকার দিকে বাড়ির পাশের চা দোকান থেকে হোসেনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। পরে মুক্তিপণ না পেয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পাগার এলাকায় ফেলে রেখে যায় তারা।এ ঘটনায় টঙ্গী থানায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে অপহরণ ও একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।তখন থেকে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার বন্দি ছিলেন।কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৬ই আগস্ট ২০২৪ইং তিনি কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যান।এর পর বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।এদিকে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী আটকের বিষয়ে র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জালিস মাহমুদ খান বলেন,কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলাতক আসামি আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে,তবে পরবর্তী আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানা যায়।