জেলা প্রতিনিধিঃ
মানিকগঞ্জ ধলেশ্বরী নদীতে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর বাবা-মেয়ের ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার(২৬শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং) সকাল ৭ ঘটিকার দিকে মানিকগঞ্জ ধলেশ্বরী নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে-এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিংগাইর ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা মোঃ রতন মিয়া।এর আগে গতবুধবার(২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং)সকাল সারে ৭ ঘটিকার দিকে মেয়েকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে নদীতে নিখোঁজ হয় বাবা ও মেয়ে।সরজমিনের তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়,মৃত মহিদুর রহমান সিংগাইর উপজেলার চর-জামালপুর এলাকার মৃত আবেদ খানের ছেলে এবং রাফা আক্তার(১১)মহিদুরের মেয়ে।এছাড়াও ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গতকাল বুধবার(২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং)সকাল সারে ৭ ঘটিকার দিকে মানিকগঞ্জ সিংগাইর উপজেলার বায়রা খেয়াঘাট সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীতে মেয়ে রাফা’কে সাঁতার শেখাতে নিয়ে যান বাবা মহিদুর রহমান।সাঁতার শেখাতে সঙ্গে নিয়ে যান পাঁচ লিটারের দুটি তেলের বোতল।মহিদুর বোতল দিয়ে মেয়েকে ভাসিয়ে সাঁতার শেখাতে চেষ্টা করেন।মেয়ে রাফা ভেসে ভেসে সাঁতার কাটতে থাকে হঠাৎ বোতলের মুখ খুলে পানি প্রবেশ করতে থাকে।বোতলে পানি ডুকে যাওয়ায় রাফা তলিয়ে যেতে থাকে এসময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাবা মহিদুরও ডুবে যান।পরে বাবা-মেয়ে ডুবে গেছে এমন সংবাদে স্থানীয়রা নদীতে জাল টেনে উদ্ধারের চেষ্টা করেন।বুধবার সকাল ৯ঘটিকার দিকে সিংগাইর ফায়ার সার্ভিস ও আরিচা স্থল কাম নদী বন্দর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল যৌথভাবে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যায়।দিনের আলো শেষ হয়ে আসায় উদ্ধার কাজ সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়।আজ বৃহস্পতিবার(২৬শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং)সকাল সোয়া ৭ ঘটিকার দিকে ধলেশ্বরী নদীতে বাবা-মেয়ের মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা।পরে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।এবিষয়ে সিংগাইর ফায়ার সার্ভিসের লিডার রতন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন,শুনেছি সকালে বাবা-মেয়ের মরদেহ নদীতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করেছে।এদিকে মানিকগঞ্জ সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর(এসআই)বাবলু মিয়া বলেন,সকালে বাবা-মেয়ের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এমন সংবাদ শুনেছি।ঘটনাস্থলে যাচ্ছি এবং এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো বলে জানান তিনি।