জবি ক্যাম্পাস প্রতিনিধিঃ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় আড়াই বছরে সাত লাখ টাকা(বিনামূল্যে)খেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।বৃহস্পতিবার(৩ই অক্টোবর ২০২৪ইং)জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মো: মাসুদ সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন,গত আড়াই বছরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যান্টিন থেকে সাত লাখ টাকার মতো বিল না দিয়েই ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে খেয়েছেন।এখন তাদের সবাই এখন পলাতক।কেউই ক্যাম্পাসে আসেন না,তবে কে কত টাকা না দিয়ে খেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,ক্যাফেটেরিয়ায় জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির নামে বাকি রয়েছে এক লক্ষ ৮৮হাজার টাকা এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের নামে বাকি রয়েছে প্রায়ই আড়াই লক্ষ টাকা।এ ছাড়াও বাকির হিসাবে নাম রয়েছে ছাত্রলীগের আরো অন্তত পাঁচ নেতা -কর্মীর।জবির শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির মাই ম্যান খ্যাত রবিউল ইসলাম রবির নামে বাকি ৫২ হাজার টাকা।সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেনের গ্রুপ লিডার খ্যাত মিরাজের নামে বাকি রয়েছে ৭৫ হাজার টাকা, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান বাবুর নামে বাকি ৫৫হাজার টাকা।সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের আরো দুইনেতা তামিম ও সাজবুলের নামে বাকি রয়েছে ১২ হাজার ও নয় হাজার টাকা।ছাত্রলীগের এই সাত নেতাকর্মীদের নামেই বাকি সর্বমোট ছয় লাখ ৪১হাজার টাকা।কাফেটেরিয়া পরিচালক মাসুদ বলেন,এছাড়াও দীর্ঘদিন টাকা না দিয়ে ক্ষমতা দাপট দেখিয়ে বাকি খেয়েছেন এসব ক্যাম্পাস নেতাকর্মীরা।এসব নেতাকর্মীর কাছে পাওনা টাকা চাহিলে দেবে দেবে করে আর দেননি।এর বাইরে আরো অনেকে আছেন যারা টুকটাক খেয়েছেন,তার কোনো(নথিপত্র) হিসাব নেই।তিনি আরো বলেন,এসব নেতারা খেয়ে তারা টাকা দিতেন না,আবার খাবার দিতে দেরি হলেই ক্যান্টিনের ওয়েটারদের মারধরও করেছেন সাজবুলসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।এবিষয়ে জবির কেন্টিন মালিক মাসুদ বলেন,এদিকে ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালনা বাবদ সপ্তাহে খরচ হয় ৩৯ হাজার ৭৫০ টাকা,মাসে এক লাখ ৫৯ হাজার টাকা।এ ছাড়া মালামাল বাবদ খরচ তো রয়েছেই।তার ওপর এতো টাকা বাকি।যেখান থেকে আমি মালামাল কিনি,সেখানেও আমার ধার করে কিনতে হয়।এতো টাকা এখন কীভাবে তুলবো!এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদককে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা পলাতক থাকা কারনে তাদের মোবাইল ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।জবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড.কে এ এম রিফাত হাসান বলেন ,বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।তবে বিষয়টি সত্য হলে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা রেগুলার স্টুডেন্ট হলে তাদের থেকে টাকা আদায় করার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।