জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগের ১৪ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এরা সবাই বিভিন্ন ফৌজদারি অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংশ্লিষ্ট মামলার আসামি বলে জানা যায়।বৃহস্পতিবার (৩ই অক্টোবর ২০২৪ইং)ভোর হইতে রাত পর্যন্ত নিলফামারী জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাড়া-মহল্লা থেকে তাদের'কে গ্রেপ্তার করা হয়।এদিকে আওয়ামী লীগের ১৪ নেতাকর্মী'কে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)এম আর সাঈদ সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মো: লাফিজ উদ্দিন লাহিন(৩৩)সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: রফিকুল ইসলাম(৫৭)উপজেলার রামকোলা গ্রামের মৃত বিনয় কুমার রায়ের ছেলে নিতাই চন্দ্র রায়(৪৫), একই এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে ফারুক আলী(৫২),মৃত কামাল উদ্দিন শাহ ফকিরের ছেলে মো: মাহিদুল ইসলাম(৫২)নীলফামারী পৌর শহরের শুটিপাড়া গ্রামের মৃত কাসেম আলীর ছেলে মো: হাসান আলী(৪২)নতুন বাজার এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মো: শাহজাহান(৪৭)এছাড়াও জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার শফিকুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ কবির হোসেন(৩২)আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে আতিকুর রহমান (৩৬)একই উপজেলার মৃত পায়েস উদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া(৪০)এবং ডোমার উপজেলার নিরঞ্জন রায়(৩০), মনিরুজ্জামান বাদল(৪০),সবুজ ইসলাম(৩৬)ও নজরুল ইসলাম (৩৮)।তবে নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)এম আর সাঈদ সাংবাদিকদের বলেন,ডোমার, কিশোরগঞ্জ ও সদর উপজেলায় বিশেষ অভিযানে মোট ১৪ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী'কে গ্রেফতার করা হয়েছে।এর মধ্যে সদরে সাতজন। বাকি সাতজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অপরাধে এসব মামলা রয়েছে,এছাড়া আইন ও বিধি মেনে আমরা তাদের আদালতে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।তাছাড়া তিনি আরও বলেন,বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীকে বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরসহ আওয়ামী লীগের আরো ৪১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী।আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতা,লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে মোট সাতটি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে বলে তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।