স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজধানীতে নিত্য পণ্যের বাজারে স্বস্তি নেই নগরবাসী মাঝে।সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজি,মাছ ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে দিগুণ।এছাড়াও প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।তবে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে জাতীয় মাছ ইলিশ।শুক্রবার(৪ই অক্টোবর ২০২৪ইং)রাজধানীর কাওরান৷ বাজার,মিরপুর শেওড়াপাড়া ও তালতলাসহ খোলা বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে এমন দৃশ্য।এছাড়া রাজধানীর এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে,সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের সবজি দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।এসব বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ থেকে ১০০ টাকা,বেগুন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০টাকা,করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা,কাঁকরোল ৮০ টাকা,পটল ৮০ টাকা,ঢেঁড়স ৮০ টাকা,বরবটি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা,প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা,পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা,ধুন্দুল ৮০ টাকা,চিচিঙ্গা ৮০ টাকা,কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা,ঝিঙা ৮০টাকা শসা ৮০ থেকে ১২০ টাকা এবং কাঁচামরিচ কেজিতে ১৪০টাকা বেড়ে প্রকারভেদে ৩৬০ থেকে বেড়ে ৪৫০টাকা মুল্যে বিক্রি হচ্ছে।এদিকে সারাদেশে থেকে সরবরাহ কম থাকায় কাঁচামরিচের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন এসব বাজারের খুচরা বিক্রেতারা।তারা জানান,গত সপ্তাহের তুলনায় কাঁচামরিচ কেজিতে ১২০ টাকা ওপরে দাম বেড়েছে।কাঁচামরিচ বিক্রি করছেন না বলেও জানান অনেক ব্যবসায়ী।এদিকে গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি।গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৯০ টাকা বেড়ে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।যা গত সপ্তাহে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।একই সঙ্গে সোনালি মুরগি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।সোনালি হাইব্রিড ২৫০ টাকা,দেশি মুরগি ৬০০ টাকা,লেয়ার লাল মুরগি ৩৩০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।তাছাড়া বাজার গুলোতে শীতকালীন সবজি শিম ৩৫০ টাকা কেজি,ফুলকপি ৬০ থেকে ৭০ টাকা পিস,পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা,গাজর ১৬০ টাকা,মুলা ৬০ টাকা এবং জলপাই ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।এসব বাজারে লেবুর হালি ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতা কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায় এবং মিষ্টি কুমড়া কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।লাল শাক ২০ টাকা আঁটি,লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ২০ টাকা,পালং শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা,পুঁই শাক ৩০ টাকা এবং ডাটা শাক ৩০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে খুচরা বিক্রেতাদের।বাজারগুলোতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা,আদা ২৮০ টাকা,রসুন ২২০ টাকা এবং আলু কেজি ৬০ টাকা মুল্যে বিক্রি হচ্ছে।এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা ,গরুর কলিজা ৮০০ টাকা,গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা,গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এছাড়াও এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায় ,সাদা ডিম ২০০ টাকা,হাঁসের ডিম ২৩০ টাকায়,দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।অন্যদিকে বাজারে স্বাভাবিক সরবরাহ বাড়লেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে জাতীয় ইলিশ মাছ।এদিকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা,১কেজি ওজনের ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা এবং দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ চাষের(আকারভেদে)বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকায়,প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে(আকারভেদে)৩৩০ থেকে ৫০০ টাকায়,দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা,মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০টাকায়,চাষের পাঙাস ২০০থেকে ২২০ টাকায়,চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকায়,বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়,কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়,পোয়া মাছ ৪৫০থেকে ৫০০টাকায় মপাবদা মাছ ৪০০থেকে ৪৫০ টাকায়,তেলাপিয়া(আকারবৃত্তিক) ২২০ টাকায়,কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়,মলা ৫৫০টাকা,টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা,কাচকি মাছ ৫০০টাকায়,পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়,রূপচাঁদা ১২০০ টাকা,বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা,দেশি কই ১২০০ টাকা,সোল মাছ ৬০০ থেকে ৯০০টাকা,বেলে মাছ ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।এদিকে ভোজ্য তেলের বাজারে ৫কেজি সোয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা,সরিষার তেল ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা,দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা,মুগ ডাল ১৮০ টাকা,এংকর ডাল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা,ছোলার ডাল ৭০ থেকে ৮০ টাকা,খেসারীর ডাল ৫০ থেকে ৭০ টাকা মাষকলাই ডাল ৭০ থেকে ৮০ টাকা,এছাড়াও চালের বাজারে ঘুরে দেখা যায় নাজির সের ৭৫ থেকে ৮২ টাকা,উন্ত্রিশ চাল ৭০থেকে ৭৫ টাকা,আটাশ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা,পোলার চাল চিনিগুড়া ১০০ থেকে ১৩০ টাকা,মিনি কেট চাল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা,বাশমতি চাল(ইন্ডিয়ান)৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা মুল্যে বিক্রি করতে দেখা যায়।