নিজস্ব প্রতিবেদক।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’কে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন।গত গত বৃহস্পতিবার(১৭ই অক্টোবর ২০২৪ইং)বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।এছাড়াও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।তাছাড়া শেখ হাসিনা’কে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন জানান,আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আদালত এক মাস সময় বেঁধে দিয়েছেন।এ সময়ের মধ্যে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যা যা করা প্রয়োজন তা করবো বলে জানান তিনি।এছাড়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গেছে পুলিশের কাছে।তাছাড়া পুলিশ এটি পারবে না।তাই আমাদের৷পুলিশের সহায়তা করার লক্ষ্যে যুক্ত হতে হবে।যাদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তারা কে কোন দেশে আছেন,সেটার কোনো নির্দিষ্ট তালিকা আছে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন,আমার কাছে যে তালিকা আছে,সেটি মিডিয়া থেকে নেওয়া।তবে যাদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে,আমরা চেষ্টা করবো অতিদ্রুত তাদের অবস্থান চিহ্নিত করতে।এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোথায় আছেন?এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমি আনঅফিশিয়ালি যতটুকু জানি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতেই আছেন।এছাড়াও ভারতের ভিসা দেওয়া নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন আরও বলেন,ভারতে বর্তমান ভিসা দেওয়া,না দেওয়া এটা একটা দেশের অভ্যন্তরীণ নিজস্ব বিষয়।এটা তাদের জিজ্ঞেস করা যায় না।তবে আমরা যেটা করেছি,যেহেতু পাশাপাশি দেশ তাই সে লক্ষ্যে আমরা ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ‘কে বুঝিয়ে বলা হয়েছে।ভারতের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য অনুযায়ী তারা এ মুহূর্তে জরুরি মেডিকেল ভিসা ছাড়া অন্য কোনো ভিসা দিচ্ছেন না।তাদের কথা নিরাপত্তার কারণে তাদের লোকবল কম।তাই বর্তমান ভারতের জরুরী মেডিকেল ভিসা ছাড়া আর কোনো ভিসা দিচ্ছে না তারা।এদিকে ৫ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের পর থেকে সরকার পরিবর্তনের পর এবং অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের সঙ্গে কোন দেশের সম্পর্ক উষ্ণ হয়েছে এবং কোন দেশের সঙ্গে শীতল হয়েছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন বলেন,বিগত সরকারের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছিল।এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।আমি মনে করি সেটা অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে কেটে গেছে।আমরা সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্কে রাখতে চাই দেশ ও দেশের জনগণের সার্থে।এর আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন বলেন,লেবাননে।আমাদের ৭০ হাজার থেকে এক লাখ প্রবাসী আছেন।তবে সঠিক সংখ্যাটা কেউ জানেন না।কারণ,সবাই বৈধভাবে যান না।লেবাননে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সেখানকার বাংলাদেশি প্রবাসীরা যারা ফেরত আসতে চান,তাদের দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।এখন পর্যন্ত এক হাজার ৮০০ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন ফেরত আসার জন্য।অনেকে আবার ফেরত আসতে চান না।বিপদ জেনেও অনেকে সেখানে থেকে যেতে চান।তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরোও বলেন,ইতালিয়ান ভিসা নিয়ে কিছুটা সমস্যা চলছে।আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বিষয়টি সমাধান করার।তাদের অভ্যন্তরীণ আইন-কানুনের কারণে এই সমস্যা হচ্ছে।তাছাড়া বাংলাদেশ,শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের জন্য তারা কিছু কঠিন আইন পাস করছে।আমরা তারপরও চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব ইতালি যেতে চাওয়াদের ক্লিয়ারেন্সের ব্যবস্থা করে দেওয়ার।তিনি আরও বলেন,কমনওয়েলথ হবে সামোয়াতে।এটি একটি দ্বীপ রাষ্ট্র।সেখানে প্রধান উপদেষ্টা যাবেন না।তবে সেখানে মিনিস্ট্রিয়াল মিটিং আছে, সেগুলো করে আমি আসবো।ছয়দিনের প্রোগ্রাম।যাতায়াতে আরও চার দিন লাগবে বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন।