নিজস্ব প্রতিবেদক(সাভার)।
সাভার হেমায়েতপুরে ফুটপাত দখল ও চাদাবাজীর বিষয়ে মিথ্যে অভিযোগে বিএনপির এক নেতার পরিবারকে হয়রানী করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।গত বৃহস্পতিবার(১৭ই অক্টোবর ২০২৪ইং)ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও এশিয়ান টেলিভিশনে কর্মরত সাংবাদিক শরীফুল ইসলাম এ অভিযোগ করেন।তিনি বলেন,গত(২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং)জাতীয় দৈনিক পত্রিকা,মানবজমিন,যুগান্তর,ও কালবেলায় আমাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে প্রচারিত দখলবাজি,চাঁদাবাজি,মারধর,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও গার্মেন্টস নিয়ন্ত্রণ করার মিথ্যে ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করা হয় যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হয়রানীমূলক।এছাড়াও এসব পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের কলামের ভাষ্য একিরকম,যা পুরোপুরি ভিত্তিহীন বটে।বিগত ৫ই আগস্ট ২০২৪ইং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের তোপের মুখে পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশ ত্যাগের পর থেকে একটি চক্র বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী ও উদ্যেশ্যমুলক সংবাদ একযোগে প্রকাশ করেন,এতে বিএনপির পরিবারের সুনামক্ষুন্য হয়েছে বলেদাবী করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।এদিকে গত(১৭ই অক্টোবর২০২৪ইং)রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার দিকে হেমায়েতপুর ফুটপাতে এসব চাদাবাজী বিষয়ে তথ্য সংগ্রহকালে বেরিয়ে আসে কিছু চাঞ্চল্যের তথ্য,দেখা যায় ফুটপাত চাদাবাজীর সাথে জরিত ব্যক্তিরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগ পরিবারের সক্রিয় সদস্য,লুতফর খান,বাদল খান।মামলত খান,বাবুল খান,তাছাড়া হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আশরাফ মার্কেটে সামনের ফুটপাতের চাদা আদায়কারী- শাহিন,শাহ আলম,জাহাঙ্গীর মোল্লা সেন্টু মোল্লা ও এছাড়াও ভাইয়েরা স্বপ্ন সুপার সপের সামনে।লুতফর খান।মামলত খান,জুয়েল খান,বাবুল খানসহ আরো অজ্ঞাতনামা কয়েক ব্যক্তি চাদা ফুটপাতের চাদা উত্তলন করেন।এছাড়াও হেমায়েতপুর সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে সরকারি অর্থয়ানে সর্বসাধারণের সুবিদার্থে নির্মিত হয়েছিলো একটি পাবলিক শৌচাগার,৫ই আগস্ট সরকার দেশ ত্যাগের পাশাপাশি হেমায়েতপুর তেতুলঝোড়া ইউনিয়ন এলাকার বেশিভাগ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গা’ডাকা দিয়েছেন,পরবর্তীতে তারই অনুসারী ও আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতা ও রাজিব সমরের আস্থাভাজন লুতফর খান মামলত খান,জুয়েল খান ও বাবুল খানসহ,অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সরকারি খরচে নির্মিত শৌচাগার ভেঙে দখল করে অস্থায়ী দোকান বসিয়ে ব্যাপক চাদা আদায় করতে একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়,যার একটি ভিডিও ফুটেজ বিসিএন নিউজ কতৃপক্ষের হাতে,এদিকে নাম না প্রকাশের সার্থে স্থানীয় এক ব্যক্তি আশরাম মার্কেট হইতে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড পর্যন্ত যতগুলো ফুটপাতে দোকান আছে সবার কাছ থেকে এককালীন অর্থ সহ প্রতিদিন চাদা আদায় হয়,তাছা এসব চাদার টাকা কোথায় যায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন,এগুলো রাজিব সমরের কাছেই যায় গোপনে
এদিকে ফুটপাতের কয়েকটি দোকানীর সাথে পরিচয় গোপন রেখে চাদার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা (দোকানী)বলেন,প্রতিদিন সকাল বিকাল প্রতি দোকান থেকে ১৫ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত চাদায় আদায় হয়,তাছাড়া নতুন কেও দোকান বসাতে চাইলে তাকে এককালীন গুনতে হয় ২০-৫০হাজার টাকা পর্যন্ত, এদিকে গত(১৭ই অক্টোবর ২০২৪ইং)বৃহস্পতিবার বিএনপির পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশের বিষয়ে ব্যারিস্টার মেহেদি হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিভিন্ন পত্রিকায় আমাদের পরিবার কে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদগুলো মিথ্যা, কাল্পনিক,মনগড়া ও ষড়যন্ত্রমূলক।তাছাড়া আওয়ামী লীগের লোকজন নব্য বিএনপি নেতা সেজে এলাকায় ফুটপাতসহ জমিজামা দখলে ব্যস্ত।আমি বা আমার কোন ভাই হেমায়েতপুরের কোন ফুটপাথ,ভ্রাম্যমাণ মার্কেট,কুলিবিট,বাজার-ঘাট,মসজিদ কমিটি,হাউজিং ব্যবসা দখলে ব্যস্ত নই।তবে এই সংবাদে অভিযোগ করা হয়েছে,আমি নাকি টিমট্রেস্ক্র নামক একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান দখল নিয়েছি,যা হাস্যকর।এছাড়া গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের মেনেজিং ডাইরেক্টর(এমডি)মনিরুল ইসলাম এসব বিষয়ে অভিযোগ শুনে সে নিজেই হতভম্ব,সে নিজে বলেছে।এবং তাকে যেই জিজ্ঞাসা করবে প্রকাশ্যে বা গোপনে সে বলছে; শরিফ কোন ভাবেই এর সাথে জড়িত নয়।এর থেকে বুঝা যায় এই নিউজগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত।তিনি বলেন,একই নিউজে একটি অংশে যুবলীগ নেতা মনির হোসেন,তাকে মারধরের অভিযোগ করেছে আমার বিরুদ্ধে।আওয়ামী লীগের প্রেতাত্বারা এখনো স্বক্রিয়,এজন্য এরূপ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করেছে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে।আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামী লীগ আমলে গোটা পরিবার আওয়ামী লীগ দ্বারা নির্যাতিত।আমাদের পুরো পরিবারের নামে কয়েকটি থানায় ৩৬ টি রাজনৈতিক মিথ্যা,হয়রানি ও উদ্যেশ্য মূলক মামলা দিয়েছিলো স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের ফ্যাসিস্ট নেতাকর্মীরা।এবিষয়ে এশিয়ান টেলিভিশনে কর্মরত সাংবাদিক শরীফুল ইসলামের কাছে প্রশ্ন করলে তিনি আরো বলেন,আমার পিতা মরহুম মো: শাহজাহান ব্যাপারিসহ আমরা চার ভাই মিথ্যা মামলায় এক সঙ্গে জেল খেটেছি এবং আমার ছোট ভাই রাকিব-রাসেল ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজপথে সামনের কাতারে থেকে আন্দোলন করেছে,এছাড়াও স্বৈরাচারী সরকারকে হটানোর জন্য ছিলো আমার ভাইদের বিশেষ ভুমিকা। আমার পরিবারের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে এলাকার আওয়ামী লীগের পা চাটা দালালরা এসব নিউজ করাচ্ছে বলে মন্তব্য প্রকাশ করেন ।তিনি আরও বলেন,বিগিত দিনে হেমায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি করা নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে,প্রকৃত সত্য হলো:স্কুলের শিক্ষক ও অভিবাবকরা মিলে আমাকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি করেছে।এখানে উল্লেখ্য যে,স্কুলটি সম্পূর্ণ বেসরকারি।এছাড়া তিনি প্রশাসনের উদ্দেশ্যে ফুটপাত উচ্ছেদের লক্ষ্যে আহবান জানান।
চলবে দ্বিতীয় কলামে,,,,,।