জেলা প্রতিনিধিঃ(ময়মনসিংহ)।
ময়মনসিংহের পুরোহিতপাড়ায় ক্রসফায়ারে রাজন হত্যার ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি)'র সাবেক ওসি আশিকুর রহমানসহ ১৭ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।গত রবিবার(২০শে অক্টোবর ২০২৪ইং)ময়মনসিংহ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ক্রসফায়ারে নিহত রাজনের বাবা হারুন অর রশিদ বাদী এ মামলা দায়ের করেন।বাদী নিহত রাজনের বাবা হারুন অর রশিদের অভিযোগ আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন জামিল এসময় ঘটনার সঠিক তদন্ত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।এদিকে দায়েরকৃত হত্যা মামলার আসামিরা হলেন- ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি)সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)আশিকুর রহমান,পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান,কনস্টেবল কাউসার হাবিব ,কনস্টেবল গোলজার,কনস্টেবল ছোহরাব আলী ,উপ-পরিদর্শক(এসআই)ফারুক আহমেদ,এসআই পরিমল চন্দ্র দাস,এসআই আক্রাম হোসেন,সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই)আব্দুল মজিদ,এএসআই জিন্নাত হাসান মানিক,এএসআই জাকির হোসেন,এএসআই জিল্লুর রহমান,কনস্টেবল সাইফুল,কনস্টেবল সেলিম, কনস্টেবল রাশেদুল,কনস্টেবল সানোয়ার ও কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম।তাছাড়া ময়মনসিংহ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোস্তাছিনুর রহমান ঘটনার বিষয়টির প্রাথমিক সত‍্যতা নিশ্চিত করেছেন।মামলার অভিযোগে জানা যায়,মঙ্গলবার(২২শে মে ২০১৮ইং)সালের আনুমানিক রাত ১ঘটিকার দিকে ডিবির সাবেক ওসি আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল পুরোহিত পাড়ায় অভিযান চালিয়ে রাজন'কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়।এদিকে রাজকে গ্রেপ্তারের বিষয় পরিবার কাছে জানাজানি হলে,তাতক্ষনিক ছেলেকে দেখার জন্য ডিবি কার্যালয়ে যান রাজনের পিতা হারুন অর রশিদ।কিন্তু দুদিনেও তাকে ছাড়েনি জেলা ডিবি পুলিশের ওসি।এরপর ২৪শে মে ২০১৮ইং সকালে বাদী আবার ছেলেকে ছাড়াতে ডিবি কার্যালয়ে গেলে ওসি আশিকুর রহমান ১০ লাখ টাকা রাতের মধ্যে দিতে হবে বলে জানান রাজনের পিতাকে।তবে বাদী টাকা সংগ্রহ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়াতে।পরে রাত পৌনে ২ঘটিকার দিকে পুরোহিত পাড়া রেলওয়ে ভাঙ্গা ওয়াল সংলগ্ন পুকুরপাড়ের দক্ষিণ পশ্চিম কোণায় রেনু বেগমের বাড়ির পাশে রাজনকে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে সেই সময়ের ওসি আশিকুর রহমানের নির্দেশে পুলিশ সদস্য রাজনকে গুলি করে হত্যা করেন।পরে মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।এদিকে মামলার বাদী হারুন অর রশিদ আরও জানান,১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় ওসি আশিকুর রহমানসহ অন্যরা রাজনকে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছেন বলে জানান তিনি।