স্টাফ রিপোর্টারঃ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে(আইসিসি)গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’অভিযোগ করা হয়েছে।গত শুক্রবার(৮ই নভেম্বর২০২৪ইং)নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত আদালতে এই অভিযোগ করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী,ব্যারিস্টার ও সলিসিটর নিঝুম মজুমদার,ব্যারিস্টার মনিরুল ইসলাম মঞ্জু ও গভ ওয়াইজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস শাকির উদ্দিন।গত ৫ই আগস্ট থেকে ৮ই আগস্ট ২০২৪ইং পর্যন্ত বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের নামে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী,হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ও পুলিশের ওপরগণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ’সংগঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়।তবে ড. ইউনূস ছাড়াও ৬২ অভিযুক্তের মধ্যে রয়েছেন-আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল,স্বরাষ্ট্রউপদেষ্টা লে: জেনারেল(অব:)জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী,পাট ও বস্ত্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার(অব:) এম সাখাওয়াত হোসেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান,তথ্যউপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ,সারজিস আলম,আব্দুল হান্নান, হাসিব আল ইসলাম ও আবু বকর মজুমদার’কে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযুক্ত করা হয়েছে।আদালতে প্রায় ৮০০ পৃষ্ঠার নথিসহ অভিযোগে বলা হয়েছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনের নাম করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা অন্তরর্ভতি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সরকার গত ৫ই আগস্ট থেকে ৮ই আগস্ট ২০২৪ইং পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী,বাংলাদেশে বসবাসরত হিন্দু,খ্রিস্টান ,বৌদ্ধ এবং বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর ওপর নির্মম গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে।এ সময় হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে হত্যা,ধর্ষণ, দেশত্যাগে বাধ্য এবং লাখ লাখ ঘরবাড়ি,সম্পদ বিনষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগে দাবি করা হয়েছে।এদিকে অভিযোগে বিষয়ে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন,আমার মনে হয় আমিই প্রথম(অভিযোগ)শুরু করলাম।প্রায় ১৫ হাজার ভিকটিম রয়েছেন যারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করবেন।উল্লেখ্য,গত ৫ই আগস্ট ২০২৪ইং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর থেকেই পলাতক সিলেটের তৎকালীন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।তাছাড়া একটি তথ্য সুত্রে জানা যায় তিনি লন্ডনে পালিয়ে গেছেন।