নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের সদর থানার দুধখালি গ্রামের শাহাদাৎ হোসেনের মেয়ে স্বর্ণালী আক্তার হত্যাকারী মামলার মুল আসামী সজিবের আতংকে এলাকা ছাড়া নিহত স্বর্ণালী আক্তারের পরিবার।এছাড়াও হত্যা মামলার আসামী সজিব বিগত সময় গ্রেপ্তারের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ায় এখন তার পরিবারের জীবন হুমকির মুখে।আসামী সজিব গ্রেপ্তারের পর জামিন পেয়ে স্বর্ণালী পরিবার’কে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ঘাতক সজীব।প্রতিপক্ষের হুমকিতে আতঙ্কিত নিহত স্বর্ণালির পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছাড়া প্রবাসা মানবতার জীবন যাপন করছেন বলে জানা যায়।তবে নিহতের পরিবারের সুত্রে জানা যায়,নিহত স্বর্ণালী আক্তারের ২০১৭ইং সালে রূপন মোল্লার সাথে স্বর্ণালী আক্তারের বিয়ে হয়,বিয়ের এক মাস পর রুকন ইতালি চলে যান।এসময় মাদারীপু রের থানতলী গ্রামের সজীবের সঙ্গে স্বর্ণালী’র মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়।ইতালি প্রবাসী স্ত্রীর সঙ্গে অনেকটাকা থাকতে পারে,এই ভেবে সজীব স্বর্ণালীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। সজীব স্বর্ণালীকে জানাই যে সে ফরিদপুরে আবাসিক হোটেলের একজন সে ব্যবসায়ী।কিন্তু তখনও তাদের মধ্যে কোন দেখা-সাক্ষাৎ হয় নাই।দেখা করার জন্য স্বর্ণালী কে সজীব ফরিদপুরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাজস্থান আবাসিক হোটেলে আসতে বলে।সেই অনুযায়ী ২৩শে অক্টোবর বিকালে স্বর্ণালী তার মায়ের কাছে বলে যে তিনি শ্বশুরবাড়িতে যাবেন।শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য স্বর্ণালী স্বর্ণালংকার পড়েন।সেই দিন বিকেলে স্বর্ণালী শশুর বাড়িতে না গিয়ে বাসে করে চলে যান ফরিদপুর পুরাতন বাসট্যান্ড রাজস্থান রয়েল হোটেলে।হোটেলের ২৭নম্বর কক্ষে প্রেমিক সজীবের সঙ্গে ওঠেন।পরের দিন ওই ২০৭ রুমের বিছানা থেকে স্বর্ণালী’র মৃতদেহ হোটেল কর্তৃপক্ষ দেখতে পায়,পরে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় খবর দিলে পুলিশে এসে স্বর্ণালীর মৃতদেহ উদ্ধার করে।এই ঘটনায় নিহতের বাবা শাহাদাত হোসেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় সজীব’কে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।এবিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মুরশেদ আলম বলেন ,স্বর্ণালী নামক একটি মেয়ের মৃতদেহ আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে,এসময় নিহত স্বর্ণালীর গলার স্বর্ণের চেইন কানের দুল,হাতের চুরি আংটি ছিল না।স্বর্ণালীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও উধাও হয়ে যায়।সন্দেহ ভাজন আসামী সজীবকে আটকের চেষ্টা চালানো হয়েছিল।সজীব গ্রেপ্তারের পর আবার জামিনে বের হ্ওয়ায় আসামী সজীবের আতঙ্কে নিহতের পরিবার।নিহতর বাবা শাহাদাত হোসেনঅভিযোগ করেন স্বর্ণালংকার মোবাইল ফোন টার্গেট করেই সজীব তার মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে,দীর্ঘ সময় পর সিআইডি আসামিকে গ্রেফতার করলেও আসামী জামিনে বের হয়ে যান।খুনি সজিব জামিনে বের হয়ে নিহত স্বর্ণালির পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।এমন কি মামলা তুলে না নিলে তার পরিবারের বাকি সদস্যদের হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়।হত্যাকারী সজীবের হাত থেকে মুক্তি পেতে ইতালিতে পাড়ি জমান নিহতের বাবা শাহাদাত হোসেন।গিয়েও নিরাপদ নন নিহতের বাবা শাহাদাত হোসেন।এমনকি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের পরিবারের নিরাপত্তার জন্য অভিযোগ তুলেন নিহতের পিতা শাহাদাত হোসেন তিনি আরো দাবি করেন তার পরিবারের সদস্যরাও আছে হুমকির মুখে।জানা যায়,হত্যাকারী সজীব তাদের পরিবারের সদস্যদের মামলা তুলে নিতে জোর করে কৌশলে মামলা না তুললে পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দেন খুনি সজীব।