স্টাফ রিপোর্টার:
সাভার উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে,যেখানে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিব মুসুল্লিকে মনোনীত করা হয়েছে।তবে তার অন্তর্ভুক্তিকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনতার মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।রাকিব মুসুল্লি পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানার জয় বাংলা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।তিনি সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান মহিবের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় মহিববুর রহমানের ছবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন তৈরি করে প্রচারণা চালাতেন।তার অতীত রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হওয়ার কথা, কিন্তু এখানে আওয়ামী দোসরদের অন্তর্ভুক্তি আন্দোলনের উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,যারা বৈষম্যের শিকার,তারাই এই আন্দোলন করবে।অথচ এখানে এমন একজনকে নেতৃত্বে আনা হয়েছে,যিনি ওই সময়ে ক্ষমতাসীন দলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এতে আন্দোলনের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাস যোগ্যতা নষ্ট হবে।আরেক জন আন্দোলনকারী বলেন,আমরা চাই এই আন্দোলন সকল পক্ষের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করুক।কিন্তু রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকলে এটি একটি পক্ষের স্বার্থ রক্ষার হাতিয়ারে পরিণত হবে।শিক্ষার্থী ও জনতার পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে,যাতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হয় এবং কোনো রাজনৈতিক দোসরের ছায়া যেন এতে না পড়ে।অন্যথায়,এই আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের আস্থা হারাবে এবং প্রকৃত লক্ষ্য ব্যাহত হবে বলে তাদের আশঙ্কা।তবে এবিষয়ে রাকিব মুসুল্লির কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।উল্লেখ্য,শনিবার(২২শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং)বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসান আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।