স্টাফ রিপোর্টারঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে গঠিত নতুন জাতীয় রাজনৈতিক দলে ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আলী আহসান জুনায়েদ থাকছেন না।গত মঙ্গলবার (২৬শে ফেব্রুয়ারি২০২৫ইং)তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক বার্তায় আলী আহসান জুনায়েদ নতুন সংগঠনে যুক্ত না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এক বার্তায় আলী আহসান জুনায়েদ জানান,২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং তরুণদের নেতৃত্বে যেই নতুন রাজনৈতিক দলটি আসছে,সেখানে আমি থাকছি না।সে কথা আমি আরও সপ্তাহখানেক আগেই দলের নেতা কর্মীদের জানিয়েছি।তবে বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে ও জাতির নজর নতুন দলের ওপর নিবদ্ধ রাখতে নীরবতা বেছে নিয়েছিলাম।কিন্তু,চারপাশের গুঞ্জন থামছে না।তাই,স্পষ্ট করে রাখছি।আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণেরর জন্য অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দানকারী দের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থেই প্রয়োজন।এছাড়াও দুর্নীতির সকল সুযোগ বন্ধ করে নতুন ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু হোক এই দলে।এবিষয়ে বারবার বলার পরও যদিও হয়নি,তবুও চাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার যথাযথ অনুসরণ ও ইনক্লুসিভনেস(অন্তর্ভুক্তি)এই দলের বৈশিষ্ট্য হোক।তবে দু:খজনক বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার পরও ট্যাগিং ও ট্যাবুর রাজনীতি থেকে মুক্ত হয়ে নতুন ধারার রাজনীতি এই দলের মাধ্যমে শুরু হোক এই প্রত্যাশাই করি।আশা করি,অভ্যুত্থানের সময়ে আমাদের মধ্যে যেই ভ্রাতৃত্ব, ভালোবাসা ও সহযোগিতার সম্পর্ক ছিলো,নতুন রাজনৈতিক পথচলায় ও আমাদের পারস্পরিক এই সম্পর্ক ও শ্রদ্ধাবোধ অপরিবর্তিত থাকবে।এদিকে আলী আহসান জুনায়েদ জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক ছিলেন।গত কয়েকসপ্তাহ ধরে তাকে নতুন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহবায়ক পদে দেখা যেতে পারে বলে গুঞ্জন ছিলো সবার মুখে মুখে।এর আগে ছাত্র শিবিরের আরেক নেতা আরেফীন মোহাম্মদ এ সংগঠনে যুক্ত না হওয়ার ঘোষণা দেন।ফলে সব মতধারার তরুণদের নিয়ে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরির ঐক্যতে ফাটল ধরছে বলে মনে করছেন এই দলটির নেতাকর্মীরা।