মোহাম্মদ উল্লাহ সোহেল
ব্যুরো প্রধান(ইতালি)।
গত ২৩শে অক্টোবর ২০২০ইং মাদারীপুর সদর থানার দুধখালি গ্রামের আলোচিত স্বর্ণালী আক্তার হত্যাকারী মামলার মুল আসামী সজিবের আতংকে জীবনযাপন করছে প্রবাসী শাহাদাৎ হোসেনের পরিবার।এছাড়া স্বর্ণালী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামী সজিব গ্রেপ্তারের হওয়ার পর কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেলেও,উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে নতুন করে আতংক ছড়িয়ে দিয়েছে প্রবাসীর পরিবারের মধ্যে এমনকি প্রবাসী শাহাদাৎ হোসেনের পরিবারের জীবন এখন হুমকির মুখে বলে জানা তারা(প্রবাসী)এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের তথ্যসুত্রে জানা যায়।গত ২৩শে অক্টোবর ২০২০ইং আমার মেয়ে নিহত স্বর্নালী আক্তার শশুর বাড়ির উদ্যশ্যে রওনা হয় তার এক অজ্ঞাত নামা বান্ধবীর সাথে,পরবর্তী উৎপেতে থাকা ঘাতক সজিব স্ব কৌশলে তাকে তার ব্যাবহাররিত মোবাইল ফোনে কল করে ফরিদপুর রাজস্থান আবাসিক হোটেলে ডেকে নিয়ে যায়।পরবর্তী ২৪শে অক্টোবর ২০২০ইং আনুমানিক তিন ঘটিকার দিকে ঘাতক সজিব স্বর্ণালী আক্তার’কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে নিহত স্বর্ণালী আক্তারের সাথে থাকা স্বর্নাঅলংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।তবে নিহতের পরিবারের সুত্রে আরো জানা যায়,নিহত স্বর্ণালী আক্তারের ২০১৭ইং সালে রূপন মোল্লার সাথে স্বর্ণালী আক্তারের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়,বিয়ের এক মাস পর নিহত স্বর্ণালী আক্তারের স্বামী রুকন ইতালি চলে যান।এসময় মাদারীপুরের থানতলী গ্রামের সজীবের সঙ্গে স্বর্ণালী’র মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়।একপর্যায়ে সজিব জানতে পারে স্বর্ণালী আক্তারের স্বামী ইতালি প্রবাসী, যেহেতু ইতালি প্রবাসী স্ত্রী,তার সঙ্গে অনেক টাকা থাকতে পারে,এই ভেবে সজীব স্বর্ণালীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন।সজীব স্বর্ণালীকে জানাই যে সে ফরিদপুরে আবাসিক হোটেলের একজন সে ব্যবসায়ী।কিন্তু তখনও তাদের মধ্যে কোন দেখা-সাক্ষাৎ হয় নাই।দেখা করার জন্য স্বর্ণালী কে সজীব অজ্ঞাত এক নারীর মাধ্যমে ফরিদপুরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাজস্থান আবাসিক হোটেলে আসতে বলে।সেই অনুযায়ী ২৩শে অক্টোবর বিকালে স্বর্ণালী তার মায়ের কাছে বলে যে তিনি শ্বশুরবাড়িতে যাবেন।শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য স্বর্ণালী স্বর্ণালংকার পড়েন।সেই দিন বিকেলে স্বর্ণালী শশুর বাড়িতে না গিয়ে বাসে করে চলে যান ফরিদপুর পুরাতন বাসট্যান্ড রাজস্থান রয়েল হোটেলে সজিবের কাছে যায়।পরবর্তী স্বামী স্ত্রী পরিচয় রাজস্থান রয়েল হোটেলের দ্বিতীয় তলা ২৭ নম্বর কক্ষে প্রেমিক সজীবের সঙ্গে ওঠেন।পরবর্তী ২৪শে অক্টোবর ২০২০ইং তারিখে আনুমানিক ১২ ঘটিকার দিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ ২০৭ রুমের বিছানা থেকে স্বর্ণালী’র মৃতদেহ দেখতে পায়,পরে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় খবর দিলে পুলিশে এসে স্বর্ণালীর মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।এদিকে মেয়ের মৃতুর খবর পেয়ে থানায় যোগাযোগ করেন নিহত স্বর্ণালী আক্তারের পিতা শাহাদাৎ হোসেন পরে মেয়ের মৃতদেহ দেখে সনাক্ত করেন তিনি।এঘটনায় নিহতের বাবা শাহাদাত হোসেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় সজীব’কে প্রধান আসামসহ অজ্ঞাতনামা একাধিক আসামী দিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।ততকালীন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুরশেদ আলমের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন,স্বর্ণালী নামক একটি মেয়ের মৃতদেহ আবাসিক হোটেলের ২০৭ নং কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে,এসময় নিহত স্বর্ণালীর গলার স্বর্ণের চেইন কানের দুল,হাতের চুরি আংটি ছিল না।স্বর্ণালীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও উধাও হয়ে যায়।সন্দেহ ভাজন আসামী সজীবকে আটকের চেষ্টা চালানো হয়েছিল, পরবর্তী আসামী সজিব কে আটক করা হয়ে কিছুদিন কারাগারে থাকার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে সজিব নিহত স্বর্ণালী আক্তারের পরিবার কে মামলা তুলে নেওয়া জন্যে বিভিন্ন ভাবে চাপসহ পুনরায় হত্যার হুমকি প্রধান করেন একাধিকবার।এদিকে নিহত স্বর্ণালী আক্তারের বাবা শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করেন স্বর্ণালংকার মোবাইল ফোন টার্গেট করেই সজীব তার মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে,এছাড়াও এ মামলার দীর্ঘ সময় পর সিআইডি আসামী সজিবকে গ্রেফতার করলেও আসামী সজিব উচ্চ আদালত থেকে জামিনে লাভ করে বের হয়ে যায়।তাছাড়া খুনি সজিব জামিনে বের হয়ে নিহত স্বর্ণালির পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।এমন কি মামলা তুলে না নিলে তার পরিবারের বাকি সদস্যদের হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়।হত্যাকারী সজীবের হাত থেকে মুক্তি পেতে ইতালিতে পাড়ি জমান নিহতের বাবা শাহাদাত হোসেন।
চলবে,,,,তৃতীয় কলামে।
আপডেটঃ
বাংলাদেশ সময়-০৭:২০ মিঃ