সাভার প্রতিনিধি।
আশুলিয়া থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ(ওসি)
হিসাবে যোগদান করলেন বাংলাদেশ পুলিশ এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক ইনচার্জ মনিরুল হক ডাবলু।গত সোমবার(৩ই মার্চ ২০২৫ইং)আনুমানিক দুপুর ২ঘটিকার দিকে আশুলিয়া থানায় দ্বায়িত্ব পালনে যোগদান করেন তিনি।এ সময় থানার অন্যান্য অফিসার গন তাকে ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নেন।নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ মনিরুল হক ডাবলু ১৯৭৮ইং সালে রাজবাড়ীর জেলার গোয়ালন্দ থানার বাহাদুরপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।তিনি মরহুম আঃ জলিল শেখের পুত্র।আশুলিয়া থানার নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুল হক ডাবলু এর বড় ভাই জিয়াউল হক বাবলু তিনি ব্যবসা ও সামাজিক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন।মেঝো ভাই জহিরুল হক লাভলু তিনি বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর এর কর্মচারী ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত সফল সভাপতি।মনিরুল হক ডাবলু শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাসের মধ্য দিয়ে।বাংলাদেশ পুলিশ এসোসিয়েশন এর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক ডাবলু ২০০৫ইং সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দান করেন।অন্যদিকে ,নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুল হক ডাবলু আশুলিয়া থানায় যোগদানের পর থেকে একটি প্রত্যায়ন পত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হলের একটি কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদের একটি প্রত্যায়ন পত্রেও ভাইরাল হয়।এ বিষয়ে প্রথমেই ছাত্রলীগের কর্মী দাবিকৃত প্রত্যায়নপত্রের সত্যতা নিশ্চিত করতে নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্যদের সাথে নানা ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়।তবে কোনো ভাবেই তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।সাদা চোখে দেখলেও প্রায় তিন বছর আগের ডিও লেটারের ঝকঝকে অনুলিপি,যা বিস্ময়কর,এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর নামের বানান,দুই জায়গায় দুই রকম(ছাপানো অক্ষরে লেখা মোঃ নজরুল ইসলাম বাবু,সিলে লেখা আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু,যা খুবই নিম্নমানের,কোন এমপি এমন মানের সিল ব্যবহার করার কথা নয়।অথচ আশুলিয়া থানার নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুল হক ডাবলু কে দেওয়া প্রত্যয়ন পত্র কয়েক বছর পরেও এখনো কতোটা তরতাজা!পরে ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দাবি করা প্রত্যায়ন পত্রের অনুসন্ধান করে এর সত্যতা পাওয়া যায়।মনিরুল হক ডাবলুর রাজনৈতিক পরিচয় জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হলের সভাপতি একেএম মেজবাহ উদ্দীন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,উনি আমার হল কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।আমরা এক সাথে রাজনীতি করেছি।তখন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভাই,ডাবুল ও আমরা এক সাথে রাজনীতি করছি।মনিরুল হক ডাবলুর ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ততা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেছেন ,না,তার সাথে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।আমি হলফ করে বলতে পারি ছাত্রলীগের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নাই।এ সময় মেজবাহ উদ্দিন আরও বলেন, ২০০১ইং সালে মহসিন হলের দখলে ছিল ছাত্রলীগের শফিকরা। তখন ডাবলু,আনিস,হিরু আমরা এক সাথে ছাত্রদলের রাজনীতি করেছি।তখন আমাদের উপর অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। আমি জেল খেটেছি।আরও অনেক অত্যাচার করা হয়েছে।আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্যের দেয়া ছাত্রলীগের প্রত্যয়ন পত্রের ব্যাপারে তিনি জানান,এ গুলো ভূয়া।আমি মহসিন হলের সভাপতি আমি ছাত্রদল করছি,ডাবলু ছাত্রদল করছে।এছাড়াও সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন আমাদের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভাই।এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক এই ছাত্রদল নেতা ও বর্তমান বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,তার পুরা পরিবারই বিএনপি।সে ফাস্ট ইয়ারে যখন হলে উঠে, তখন তারা ৪ জন বন্ধু ছিল।ততকালীন সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন ছাত্রদলের লোক হিসেবে তখন তাদেরকে হল থেকে বের করে দেয়া হয়।ছাত্রলীগের প্রত্যায়ন পত্রের ব্যাপারে তিনি বলেন,ওই প্রত্যায়ন পত্রটি কে বা করা বের করেছে।তা আমি জানি না।তার যে বন্ধু ছিলেন মহিদুল ইসলাম হিরু,সে পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট হয়।এদিকে,মনিরুল হক ডাবলুর পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয় অনুসন্ধান করে জানা যায়,উনার পিতা মরহুম আব্দুল জলিল মিয়া।যিনি প্রথমে ছিলেন ফরিদপুর জেলার গোয়ালন্দ মহকুমা শাখার জাগ দলের ও পরে বিএনপির সদস্য ছিলেন।তার বড় ভাই মোঃ জিয়াউল হক বাবলু ছিলেন গোয়ালন্দ পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি এবং গোয়ালন্দ উপজেলা শাখা জাসাস এর সাবেক সভাপতি।উনার মেঝ ভাই মোঃ জহিরুল হক লাভলু গোয়ালন্দ উপজেলা জাতীয়বাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি(১৯৯১ইং- ১৯৯৬ইং)হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানা যায়।আশুলিয়া থানার নতুন অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বাংলাদেশ পুলিশ এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক ডাবলু বলেন-আমি কখন ছাত্রলীগের রাজনীতি করি নাই।এই জন্য আমাকে গত ১৫বছর অসংখ্যবার বদলি করছে,আমাকে নিভৃত করে রাখা হয়েছে।তবে আমি কোন দলের হয়ে নয়,দেশের সেবা করতেই পুলিশে যোগদান করেছি।
বিস্তারিত থাকছে তৃতীয় কলামে,,,,,,,,,।
আপডেট বাংলাদেশ সময়ঃ০৪:৩০ মিনিট।