শিক্ষানবিশ প্রতিনিধি(জিহাদ হক)।
আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে একাধিক ককটেল ফুটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।এসময় ডাকাতের ধারালো চাপাতির কোপে স্বর্ণ ব্যবসায়ী দীলিপ দাশ ঘটনাস্থলে নিহত হয়।রবিবার(৯ই মার্চ ২০২৫ইং)রাত আনুমানিক সারে ৯ ঘটিকার দিকে আশুলিয়া থানাধীন নয়ারহাট বাজারের দীলিপ স্বর্ণালয়ে এ ঘটনা ঘটে।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কাছ থেকে খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিহত দীলিপ দাশ আশুলিয়া থানার পাথালিয়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের দুলাল দাশের ছেলে।তিনি নয়ারহাট বাজারে দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণের ব্যবসা করে আসছিলেন।এদিকে নয়ারহাট বাজারের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্রথেকে জানাযায়,রবিবার(৯ই মার্চ২০২৫ইং)আনুমানিক রাত সারে ৯ ঘটিকার দিকে তারাবির নামাজের সময় জনমানবশূন্য হওয়াতে বাজারে নিজ স্বর্ণের দোকান বন্ধ করছিলেন নিহত স্বর্ণ ব্যাবসায়ী দীলিপ দাস।এসময় চার /পাঁচজন দুর্বৃত্তরা একাদিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে দোকান মালিক দীলিপ’কে দেশীয় অস্র(চাপাতি)দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।এতে দুর্বৃত্তদের কোপের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পরে।এসময় দোকান মালিক দিলিপ দাশের কাছে থাকা একটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত গুরুতর আহত অবস্থায় দোকান মালিককে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এবিষয়ে বাজারের ঝাড়ুদার প্রত্যক্ষদর্শী স্বপ্না বেগম বলেন,আমি ঘটনাস্থলে বাজার ঝাড়ু দিচ্ছিলাম।তখন দীলিপ দাশের দোকানে ক্রেতা ছিল।ক্রেতারা যাওয়ার পর দোকান বন্ধ করছি লেন ব্যবসায়ী।এসময় তার স্ত্রী একটি ব্যাগ নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল।পরে রাস্তা থেকে চারজন যুবক দোকানের সামনে এসে একটি ককটেল ফুটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।পরবর্তীতে দীলিপ তাদের বাধা দিলে গেলে,দুর্বৃত্তদের হাতে থাকা ধারালো দেশীয় অস্র(চাপাতি)দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।এছাড়াও দোকান মালিক দীলিপ দাশ দুর্বৃত্তদের কোপের আঘাতে আহত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে তার স্ত্রীর হাত থেকে ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে আবার একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ।এদিকে দিলীপ দাশের স্ত্রী সরস্বতী দাস ঘটনার বিবরণ জানান,আজ কয়েকজন ডাকাত প্রাইভেট কারে এসে স্বর্ণপট্টিতে হানা দেয়।এ সময় আমার স্বামী দোকানে থাকা ২০ ভরির মতো স্বর্ণালংকার একটি ব্যাগে ভরে দোকানের শাটার বন্ধ করছিলেন।আমি পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম।ডাকাতেরা পেছন থেকে এসে আমার স্বামীর হাতে থাকা স্বর্ণের ব্যাগ ধরে টান দেয়।তিনি বাধা দিলে ডাকাতেরা চাপাতি দিয়ে তার গালে,বুকে ও পিঠে কুপিয়ে আহত করে।এ সময় বাজারের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করলে লোকজন এগিয়ে আসে।পরে ডাকাতেরা ককটেল ফুটিয়ে স্বর্ণের ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। ডাকাত দলে ৩-৪ জন ছিল।তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন,ঘটনাস্থল ও আশপাশে ৭-৮ জন ছিল।ঘটনার পর ব্যবসায়ী ও এলাকার লোকজন দিলীপকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।পরবর্তী এনাম মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এবিষয়ে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মেরাজুর রেহান পাভেল বলেন,চাপাতির আঘাতে দিলীপ দাশের ফুসফুস ও হৃদযন্ত্র কেটে গেছে।তার গালে ও পিঠে গুরুতর জখম হয়েছে।অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান।এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত)মো: কামাল হোসেন বলেন, দীলিপ দাশ দোকানে তালা লাগানোর সময় চার ব্যক্তি এসে তাকে দুইবার ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাকভতাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি ডাকাতিসহ হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের স্ত্রী।তবে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।