জেলা প্রতিনিধিঃ
যশোরে রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সানজিদা আক্তারের নামে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের করা দুটি চার্জশিট আদালত গ্রহণ করেছে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের পিপি সিরাজুল ইসলাম।গত(২০শে মার্চ ২০২৫ইং বৃহস্পতিবার আদালতে শুনানি শেষে যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ)নাজমুল আলমের আদালতে চার্জশিট দুটি নেওয়া হয়।তাছাড়া রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম যশোর শহরের খড়কির শাহ আব্দুল করিম সড়কের ইউসুফ আলীর ছেলে।বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ সার্কেল কাস্টম,এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসে কর্মরত।তিনি স্ত্রী সানজিদা আক্তারকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন।একই সঙ্গে বিচারক অভিযুক্ত দম্পতির নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ারা জারি করেছেন।মামলা সূত্রে জানা গেছে,জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১০ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩১ টাকার সম্পদ অর্জন এবং দুদকে দাখিল করা তথ্য বিবরণীতে ২৪ লাখ ১৯ হাজার ৪৯৭ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করার অভিযোগে রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের নামে ২০২৩ইং সালের ১১ই অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা হয়।একই তারিখে তার স্ত্রী সানজিদা আক্তারের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৬৭ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৭ টাকার সম্পদ অর্জন এবং দুদকে দাখিল করা তথ্য বিবরণীতে ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করার অভিযোগে আর একটি মামলা হয়।দ্বিতীয় মামলায় সানজিদা আক্তারকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তার অভিযোগে রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকেও আসামি করা হয়।মামলা করেন দুদক যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক মোঃ আল-আমিন।মামলা দুটির তদন্ত শেষে গত ১৬ই মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।বৃহস্পতিবার(২০শে মার্চ ২০২৫ইং)শুনানি শেষে আদালতে চার্জশিট গৃহীত এবং রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সানজিদা আক্তারের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।
বাংলাদেশ সময়:০২.৩০ মিনিট,
মার্চ ২১,২০২৫ইং
এসআই