আন্তর্জাতিক নিউজঃ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে সই করতে যাচ্ছেন,যার লক্ষ্য শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত করা।গত(২০শে মার্চ২০২৫ইং)বৃহস্পতিবার তিনি ওই আদেশে সই করেন বলে জানায় হোয়াইট হাউস,খবর বিবিসির।নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এ পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এরইমধ্যে এটি আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য গণমাধ্যমের।
বিরোধীরা শিক্ষা বিভাগ বন্ধ ও সম্প্রতি ঘোষিত ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই ঠেকাতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।তবে ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্ত করার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।কিছু রক্ষণশীলের বহুদিনের লক্ষ্য এটি।তবে শিক্ষা বিভাগ পুরোপুরি বিলুপ্ত করতে হলে কেবল নির্বাহী আদেশই যথেষ্ট নয়,কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে।শিক্ষা বিভাগ বিলুপ্তকরণের পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা কঠিন হতে পারে,কারণ সিনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা মাত্র ৫৩-৪৭।কোনো বিভাগ বন্ধের মতো গুরুত্বপূর্ণ আইন পাস করতে অন্তত পক্ষে ৬০ ভোটের প্রয়োজন।বৃহস্পতিবারের শেষ দিকে হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টের ওই আদেশে সই করার কথা। ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেসান্টিসসহ রিপাবলিকান আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের গভর্নররা এতে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র গত (১৯শে মার্চ ২০২৫ইং)বুধবার বলেন,এই আদেশ শিক্ষার সুযোগ বাড়াবে এবং অভিভাবক,অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় সম্প্রদায়কে শিক্ষার উন্নয়নে আরও ক্ষমতা দেবে।এছাড়া ১৯৭৯ইং সালে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগসরকারি স্কুলগুলোর জন্য অর্থায়ন তদারকি করে,শিক্ষার্থীদের ঋণ দেয় এবং নিম্নআয়ের শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে।ট্রাম্পের অভিযোগ,শিক্ষা বিভাগ তরুণদের অপ্রয়োজনীয় জাতিগত,যৌন ও রাজনৈতিক মতাদর্শে প্রভাবিত করছে।অনেকেরই ভুল ধারণা,শিক্ষা বিভাগ যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল পরিচালনা করে ও পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করে।তবে এটি প্রকৃতপক্ষে অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্ব।প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মোট তহবিলের মাত্র ১৩শতাংশ আসে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে। বাকি অর্থের বেশিরভাগই আসে অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় সংস্থাগুলো থেকে।অন্যদিকে শিক্ষা বিভাগ লাখো আমেরিকানের উচ্চশিক্ষার খরচ বহনে ব্যবহৃত কেন্দ্রীয় শিক্ষাঋণ ব্যবস্থাপনা ও তদারকির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশ সময়:০২.৫৯ মিনিট।
মার্চ ২১,২০২৫
আরএইচ