নাজমুল আলম মাসুদ(ধামরাই)।
ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নে সিংশ্রী গ্রামের গরু ব্যবসায়ী রুবেল হোসেনের ৫৭১০০০(পাঁচ লক্ষ একাত্তর হাজার)টাকা ছিনিয়ে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে কুখ্যাত সন্ত্রাসী বাহিনী সোহরাব হোসেন গং।ভুক্তভোগী, প্রত্যাক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানান যে,রুবেল হোসেন একজন গরু ব্যবসায়ী। রুবেল হোসেন ২৫/০৩/২০২৫ইং তারিখে মির্জাপুর দেওহাটা গরুর হাটে গরু বিক্রয় করিয়া (৫৭১০০০)পাঁচ লক্ষ একাত্তর হাজার টাকা নিয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করে।আনুমানিক ৩:৩০ ঘটিকার সময় সিংশ্রী গ্রামের মৃত মজিদ মাষ্টারের বাড়ির দক্ষিণ পাশের রাস্তায় পৌঁছালে কুখ্যাত সন্ত্রাসী বাহিনী সোহরাব হোসেন,শাহ আলম, আঃ সালাম,মোঃ সাকিল হোসেন ও মহসিন কবির সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন সন্ত্রাসী ধারালো ছ্যান দা,লোহার রড, লাঠি দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পথরোধ করে মারপিট শুরু করে।সোহরাব হোসেন ও সাকিল হোসেন ধারালো ছ্যান দা দিয়ে একাধিক কোপ মারে,ডান হাতের একাধিক জায়গায় লাগে ও কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।আঃ সালাম লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হাড়-ভাঙ্গা জখম করে।শাহ আলম(৫৭১০০০) পাঁচ লক্ষ একাত্তর হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।রুবেল হোসেনের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আসিতে থাকিলে সন্ত্রাসী গন চলে যাওয়ার সময় তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় যেন অন্য কারো কাছে কিংবা থানার অভিযোগ না করেন।এলাকাবাসী রুবেল হোসেনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে,পরবর্তীতে রুবেল হোসেন এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পূর্ণবাসন প্রতিষ্ঠান(নিটার)রেফার করে অতি দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স যোগে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।এলাকাবাসী আরো জানান যে,সন্ত্রাসী সোহরাব হোসেন,শাহ আলম,আঃ সালাম কিছুদিন পূর্বে তার বাবা,ভাই ও বোনকে মারধর করে এজন্য ওদের বাবা মোহাম্মদ আলী(৭০)নিজে বাদী হয়ে কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন।সোহরাব হোসেন এর পুরো পরিবার সন্ত্রাসী ও খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক,কথায় কথায় ওরা ছ্যান দা ও লাঠিসোটা নিয়ে মানুষকে মারতে আসে।ঐ এলাকার সাধারণ মানুষ সর্বদা ওদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ভীত সন্ত্রস্ত ও আতঙ্কে থাকে। এর পূর্বেও ওদের নামে চাঁদাবাজি, জাল জালিয়াতি ও সন্ত্রাসী একাধিক মামলা রয়েছে।