মোজাম্মেল হোসেন রাতুল(এডিটর)।
৫ই আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে রাজনীতির‘প্যারাডাইম’-এ বদল ঘটেছে।যা গত ৫৩ বছরেও রাজনীতি ছিল মূলত তিন ধারায় বিভক্ত।এর মধ্যে প্রধান ধারা বা যেটাকে মূলধারার রাজনীতি বলা হয়েছে,সেটা ছিল‘প্রহসনের নির্বাচনী রাজনীতি ধারা।প্রধানত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ,বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল(বিএনপি)জাতীয় পার্টি এবং তাদের সহযোগীদের এ ধারার অন্তর্ভুক্ত ধরা হতো।অন্যদিকে একটা ছিলো বাম বিপ্লবী ধারা, আরেকটা ছিলো ইসলামী বিপ্লবী ধারা।এ তিন ধারার বাইরে অন্য একটি রাজনৈতিক ধারা গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছিল এক দশকেরও বেশি সময় ধরে।প্রথমে বিশ্লেষণ আকারে,পরে কর্মসূচি আকারে এবং সর্বশেষ মাঠের রাজনীতি আকারেই এ ধারা সামনে এসে দাঁড়িয়েছে‘রাষ্ট্র সংস্কারের রাজনীতি’পরিচয় নিয়ে।এ ধারা যে প্রচলিত তিন ধারার বাইরের একটি নতুন ধারা,সে বিষয়টি এখনও অতটা স্পষ্ট নয়;কারণ প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর অনেকেই বর্তমানে নিজেদের রাষ্ট্র সংস্কারের পক্ষের বা অনেকে নিজেদের এই রাজনীতির প্রবর্তক বলেও দাবি করছেন।এছাড়াবাংলাদেশে এর আগে যত আন্দোলন হয়েছে,শুরুর দিকে তার দাবি দাওয়ায় যত বৈচিত্র্যই থাকুক না কেন চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছতে পৌঁছতে তা এক দফা তথা সরকার বদলের আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়ে যেত।এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সচেতন তৎপরতা ছিল এবং ৭ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে আগে,যুগপৎ আন্দোলন যখন এক দফার আন্দোলনে উপনীত হয়েছে,তখনও এক দফার মধ্যে অন্তত পাঁচটি দাবিকে অনুক্ত রাখা সম্ভব হয়েছিল।এদিকে যুগপৎ আন্দোলন সরকার পতনে ব্যর্থ হওয়ার পর নির্বাচনী প্রহসন উত্তর পরিবেশে ছাত্ররা যখন কোটা সংস্কারের দাবিতে মাঠে নামে এবং খুনি হাসিনা যখন নির্মম বলপ্রয়োগের মাধ্যমে সবাইকে হত্যা করে আন্দোলন দমাতে মরিয়া হয়ে ওঠে,তখন আবু সাঈদের আত্মত্যাগের পথ ধরে জনগণের ব্যাপক অংশ গ্রহণ এবং আকাঙ্ক্ষার চাপ কোটা সংস্কারের আন্দোলন’কে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়।তবে সরকার পতনের এক দফা শুধু সরকার উচ্ছেদের দাবিতে সীমাবদ্ধ থাকেনি,সরকার আর শাসনব্যবস্থা বদলের দাবি’আগে থেকেই একাকার হয়েছিল।ফলে খুনি হাসিনার পতন এবং স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতা কাঠামো বদলের দাবি এক দফার অপরিহার্য অংশ হিসেবে একসঙ্গেই সামনে আসে। তবে খুনি হাসিনার পলায়নের মধ্য দিয়ে এক দফার প্রথমাংশের বাস্তবায়ন হয়ে গেছে।এখন বাকি কাজ একটাই;রাষ্ট্র সংস্কার তথা সংবিধান সংস্কার।কিন্তু রাষ্ট্র কিংবা সংবিধান সংস্কারের রাজনীতি,যা গত ৫৩ বছরের চলতি রাজনৈতিক ঘরানার নয়,নতুন ধরনের।সংস্কারের প্রয়োজন আছে–মানুষ এটা অনুভব করছে কিন্তু কতটুকু সংস্কার করা,সংস্কার কারা কোন পথে করবে,কোনভাবে করলে সংস্কার টেকসই হবে–এসব নিয়ে দ্বিধা এবং মতপার্থক্য আছে সবার মাঝেই।এ ধরনের পরিবর্তনের জন্য উপযুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করার ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের অভিজ্ঞতার ঘাটতিও অনেকটাই আছে।নির্বাচনের রাজনীতির অভিজ্ঞতা আমাদের যা আছে তা হচ্ছে,একে অপরকে পরাজিত করার জন্য কাজ করার অভিজ্ঞতা।কিন্তু সংবিধান গ্রহণ কিংবা গৃহীত সংবিধানের ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করে সময়োপযোগী করার যে রাজনীতি,তাতে রাষ্ট্রের সকল অংশের মানুষের সম্মতি পাওয়া র যে রাজনীতি,সকলের মধ্যকার পার্থক্য,ভিন্নমত সত্ত্বেও সকলে সম্মানজনক ভাবে বাঁচার,বসবাসের,বিরোধ করবার এবং বিরোধ নিষ্পত্তির পথ পদ্ধতি গ্রহণের যে রাজনীতি,তা সাধারণভাবে একে অপরকে পরাজিত করবার রাজনীতি থেকে আলাদা।এই নতুন রাজনীতি বাংলাদেশের অভিজ্ঞতায় নাই কিন্তু তার প্রয়োজন ভীষণভাবে হাজির হয়েছে যা বর্তমান চলমান রয়েছে।২৪-এর অভ্যুত্থান যে পথে সংঘটিত এবং সফল হয়েছে,তার মধ্যে এই নতুন রাজনীতির ইশারাটা ছিল।জনগণ এবং প্রায় সকল রাজনৈতিক দল,যাদের নেতৃত্বে আন্দোলনে শামিল হয়েছিল ,নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের সেই অংশটা কিন্তু দলীয় পরিচয়ের বাইরে ছিল এবং আন্দোলনের সফলতার ভেতর দিয়ে তারা দলীয় পরিচয়ের সকল সীমাবদ্ধ তাকে অতিক্রম করে সমগ্র জাতির হয়ে উঠেছিল।অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগমুহূর্তে এ আলোচনা এসেছিল যে সরকার কি সর্বদলীয় হবে,দলীয় রাজনীতিবিদ এবং আমলাদের অংশ গ্রহণে মিশ্র ধরনের হবে,নাকি দল’নিরপেক্ষ বিশিষ্ট জনদের নিয়ে গঠিত হবে?অল্পক্ষণ স্থায়ী সভায় খুব অল্প আলোচনার মধ্য দিয়েই উপস্থিত সকলে এ সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছিলেন যে,সরকার দলনিরপেক্ষদের নিয়েই গঠিত হবে এবং যাদেরকে নিয়ে যেভাবেই তা গঠিত হোক না কেন,সেটা আন্দোলনকারী ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই হবে,তাদের মতামতের ভিত্তিতে গঠিত হতে হবে।সম্মিলিত এসব সিদ্ধান্তেও জাতীয় ঐক্যের একটা ইশারাই ছিল।এই মুহূর্তে সবচেয়ে ইতিবাচক মানুষও বলবে না,যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল জুলাই-আগস্টে,সেই ঐক্য এখনও অটুট আছে।এই না থাকার কারণ বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন জনকে দোষারোপ করলে যে হারানো ঐক্য আবার দৃঢ় হবে তেমনটা আশা করার কোনো যৌক্তিক কারণ নাই,তাই সেটা নিয়ে এ মুহূর্তে আলাপ অপ্রয়োজনীয়।কিন্তু বিদ্যমান ক্ষয়প্রাপ্ত ঐক্য নিয়েও বিজয়ের যতটুকু সংহত করা সম্ভব,সেটুকু কোন পথে করা যাবে,সে পথ আবিষ্কার করতে পারাই এ সময়ের রাজনীতির আরেকটা চ্যালেঞ্জ। আমাদের প্রচলিত রাজনীতির প্রায় সবটুকুই দৃশ্যত আদর্শ ভিত্তিক রাজনীতি,দলীয় নেতাকর্মীর জীবনে সেইসব আদর্শের ছায়া থাকুক বা না থাকুক।এইসব দলের অধিকাংশই,দল গঠনের সময়ে অথবা পরবর্তী সময়ে যেসব আদর্শকে জনপ্রিয় আদর্শ মনে করেছে,সেইসব আদর্শকে দলীয় জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দলীয় আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছে।অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দলের নেতাকর্মী সেইসব আদর্শের বিপরীত জীবন চর্চা করেছে কিন্তু বক্তব্য বিবৃতিতে নিজেদের গৃহীত সেইসব আদর্শের ধারক-বাহক হিসেবে দাবি করে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই এর ফল হয়েছে নেতিবাচক,মানুষ দলীয় নেতাকর্মীর অপকর্মের সমালোচনা করতে গিয়ে সেইসব আদর্শকেও সমানভাবে পরিত্যাজ্য কিংবা ঘৃণিত তালিকার অন্তর্ভুক্ত করেছে।বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই নিজেদের‘পোস্ট ইডিওলজিক্যাল’বা আদর্শভিত্তিক রাজনৈতিক যুগের পরবর্তী প্রজন্ম হিসেবে পরিচয় দেয়।কিন্তু দুর্ভাগ্য,তাদের অনেকের বক্তব্য এবং কাজের মনোযোগ,অনেকাংশে কথিত আদর্শভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর মতোই রয়ে গেছে এমনটা মনে করেন অনেকেই।মানুষ যেসব তর্ককে পেছনে ফেলে এসেছে,যখন ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতিকে পেছনে রেখে সমাধানভিত্তিক রাজনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে,তখনও কেউ কেউ মানুষের মনেযোগকে সেইসব পরিত্যাক্ত বয়ানের মাঝেই আটকে রেখেছে।আধুনিক রাষ্ট্রে ক্ষমতাকে মোটাদাগে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়;একটা‘সফট পাওয়ার’অপরটা‘হার্ড পাওয়ার।যেমনটা মনে করেন:রাষ্ট্রের‘ সফট পাওয়ার’হলো শিক্ষা, সংস্কৃতি,মতাদর্শ ইত্যাকার অবস্তুগত উপাদানসমূহ,যা সহজে দৃশ্যমান করা যায় না।অন্যদিকে রাষ্ট্রের‘হার্ড পাওয়ার’হলো তার আইনকানুন-পুলিশ-মিলিটারি-কোর্টকাচারি-জেলখানাসহ বলপ্রয়োগকারী নানান প্রতিষ্ঠান;যা সহজেই মানুষকে চেনানো যায়,যার নির্মমতার ভেতর দিয়ে তাদের প্রতিনিয়ত পার হতে হয়।ব্রিটিশ কলোনিয়াল ধাঁচের রাষ্ট্র আর স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অনেকটাই পার্থক্য আছে।স্বাধীন রাষ্ট্রগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে‘সফট পাওয়ার’যতই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে,আমাদের বেলায় তা নয়।বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলো জানে এবং জনগণও অনেকটা মেনে নেয়,আদর্শের কথা যাই বলা হোক না কেন,আসল বিষয় হলো’দমনের ক্ষমতা।এবং এই ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য পুলিশ-মিলিটারি-আইন-আদালত -রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে চরমভাবে নষ্ট করতে পারা এখানে নেতৃত্বের যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়।তাছাড়া সেইসব‘যোগ্য নেতাদের’অধীনে রাষ্ট্রক্ষমতার সুফলভোগীরা সকলে মিলে সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে উদগ্রীব থাকে।এইসব সিন্ডিকেটের মূল শক্তি যে রাষ্ট্রের‘হার্ড পাওয়ার,এটা প্রত্যক্ষ করলেও আমাদের ‘শিক্ষিত মানুষের মন’এই হার্ড পাওয়ারের চেয়ে’সফট পাওয়ার’নিয়ে আলোচনা করতে অধিকতর স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে ।অতি প্রয়োজনীয় আলোচনায় কম মনোযোগ দিয়ে কম প্রয়োজনীয় আলোচনায় অধিক মনোযোগ দিলে মানুষ আগ্রহ হারায় এবং তাদের নিজেদের ভোগান্তির অভিজ্ঞতার কারণে যে বাস্তব ঐক্য গড়ে উঠতে পারত,তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।তখন সকলেই লিপ্ত হয় যার যার পছন্দের দার্শনিক ঘরানা সঠিকতা প্রতিষ্ঠা করতে আর‘ব্রিটিশের বিভাজন নীতি’অবিরাম খেলা করে আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে। এ দেশের মানুষের ’২৪-এর চেয়ে অনেক বেশি গাঢ় এবং দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অভিজ্ঞতাও আছে’১৯৭১ইং সালে দেশের সাধারণ মানুষ যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলো,পৃথিবীর ইতিহাসে তেমন ঐক্যের নজির খুব একটা নাই।সে ঐক্য আমরা বেশিদিন ধরে রাখতে পারি নাই। কারণ জনগণ যাঁর মাঝে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন দেখতে চেয়েছিল,যাঁকে তারা আর কোনো নির্দিষ্ট দলের সীমার মাঝে আটকে রাখতে চায় নাই, তিনি জনগণের সেই আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে,তার দলের সর্বেসর্বা এবং রাষ্ট্রক্ষমতার মালিক হওয়ার পথ বেছে নিয়ে ছিলেন।এর ফল হয়েছিল অত্যন্ত ভয়াবহ,অচিরেই তিনি জনগণের স্বপ্ন থেকে ছিটকে বাইরে চলে যান।অতি অল্প সময়ের মধ্যে তাঁর দলীয় ছাত্রদের একাংশকে তিনি পারিবারিক আত্মীয়তাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে বর্জন করেন এবং ক্রমশ এই পথ ধরে দেশের ইতিহাসে সৃষ্টি হওয়া সর্বোচ্চ সুয়োগটিকে তিনি নিজের,পরিবারের,দেশের,সকলের জন্য মহা দুর্যোগের পরিণত করেন।ইতিহাস তার সমগ্র শিক্ষা নিয়ে আমাদের সামনে দণ্ডায়মান। আমরা দলীয় লোকজন সমগ্র জাতির হয়ে উঠতে পারি নাই,কিন্তু ইতিহাস এমন এক বৃহৎ কর্তব্য আমাদের সামনে হাজির করেছে,যা কোনো দলের পক্ষে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়,কেবল সকল ধরনের মানুষ সমঝোতায় পৌঁছতে পারলেই সম্পন্ন করা সম্ভব বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।তেমন পরিস্থিতিতে,সময় যাদেরকে নেতা হিসেবে উদ্ভাবন করেছে,তারা যদি তাদের ওপরে অর্পিত আকাঙ্ক্ষার চরিত্র উপলব্ধি করতে সক্ষম হয় তাহলেই মঙ্গল,অন্যথায় আবারও বেহাত হতে পারে বিজয়।তবে সমস্ত অদক্ষতা,অনভিজ্ঞতা, লোভ ইত্যাকার সমস্যা সত্ত্বেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সত্য এই যে,আমাদের তরুণরা পাল্টে গেছে।তারা তাদের চিন্তার শক্তি এবং ঐক্যের জোর সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।১৯৭১ইং সালের পরে এমন অভিজ্ঞতা অর্জনের সৌভাগ্য অন্য কোনো জেনারেশনের হয়নি।তারা মোটাদাগে তাদের নিজেদের নতুন রাজনীতিও চিহ্নিত করতে পেরেছে।রাষ্ট্র সংস্কারের মাঝে যে এখানকার রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সংকটের সমাধান মৃত,এটা তারা যেভাবে উপলব্ধি করেছে,এই উপলব্ধি থেকে তাদের বিচ্যুত করা আর কোনো শক্তির পক্ষেই সম্ভব হবে না।রাষ্ট্র সংস্কারের ধারণাকে আরও ব্যাপক এবং আরও গভীর করার দাবি উঠতে পারে কিন্তু সংস্কারের চাইতে ও কম কিছু এ প্রজন্মকে আর আকৃষ্ট করবে না।বিগত ৫০ বছর ধরে‘এক দল অন্য দলকে দোষারোপ করার যে নোংরা রাজনীতি’দেশকে নিয়ন্ত্রণ করেছে,সে রাজনীতির কবর হয়েছে এ ২৪’এর অভ্যুত্থানে।অভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রকৃত অর্থেই রাজনীতি করেই টিকে থাকতে হবে, পূর্বসূরিদের বিক্রি করে আর প্রাসঙ্গিক থাকা যাবে না।প্রত্যেক দলকেই ক্ষমতায় যাওয়ার পরে রাষ্ট্রের কোন বিষয়ের কী পরিবর্তন,কোনভাবে করবেন,তার পরিকল্পনাসমেত কর্মসূচি হাজির করতে হবে।এবং ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন না করে, দমনের ক্ষমতা’ব্যবহার করে আর যাতে কেউ রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে না পারে,তার নিশ্চয়তাও আদায় করবে এ নতুন প্রজন্ম।আবু সাঈদের দিগন্ত প্রসারিত হাত আর বন্দুকের দিকে চেতানো বুক’কে আর পেছনে ফেরানো সম্ভব হবে না,ইতিহাসের দেয়ালে এর গতিপথ আঁকা হয়ে গেছে।আগামীর রাজনীতি সে পথেই হাঁটবে এমনটাই মনে করেন রাজনীতিবিদসহ দেশের সাধারণ জনগণ।
বাংলাদেশ সময়:১২.৩৮ মিনিট,
০৮ই এপ্রিল ২০২৫ইং,
বিসিএন/এনডিই