জেলা প্রতিনিধিঃ
খুলনায় বাটা,ডমিনো’স ও কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে।পৃথক এ তিনটি মামলায় কমপক্ষে ২৯০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।মঙ্গলবার(৮ই এপ্রিল ২০২৫ইং)রাতে সোনাডাঙ্গা থানায় এ মামলা দায়ের করেন ওই তিন প্রতিষ্ঠানের কর্মরতারা।বুধবার (৯ই এপ্রিল ২০২৫ইং)ভোরে সোনাডাঙ্গা থানার ডিউটি অফিসা র সাব ইন্সপেক্টর হাসান পৃথক তিনি মামলার বিষয় নিশ্চিত করেন।তিনি সাংবাদিকদের জানান,হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে খুলনা শিববাড়ি মোড়ের বাটা শো-রুমে ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ১২/১৩শ জন’কে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ছাড়া কেএফসি’র কর্মকতা(ম্যানেজার)সুজন মণ্ডল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৭/৮শ জনের বিরুদ্ধে আসামি করে আরেক’টি মামলা দায়ের করেছেন।এছাড়া অনুরূপভাবে ডমিনো’স পিজ্জাতে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শামসুল আলম আরেকটি মামলা দায়ের করেন।এ মামলায় প্রায় ৭/৮শ জনকে আসামি করা হয়েছে।এদিকে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল থেকে সোমবার(৭ই এপ্রিল২০২৫ইং)সন্ধ্যায় খুলনা কেডিএ এভিনিউ সড়কের কেএফসি ও ডমিনো’স এবং শিববাড়ি সংলগ্ন টাইগার গার্ডেন হোটেলের পাশের বাটার শো-রুমে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।এছাড়া সমাবেশে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতা ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি,ডমিনো’ স,সহ বাটার মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের শো-রুমে হামলা চালায়।এ সময় কেএফসি ভবনের গ্লাসগুলো ভাঙচুর করা হয়।পাশাপাশি কেএফসির আসবাবপত্র,ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী টিভি, ফ্রিজ,ওভেন বাইরে বের করে ভাঙচুর করা হয়।বাটার শো-রুম থেকে জুতা লুটপাট করা হয়।এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকা ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।তবে ভিডিও ফুটেজ এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনার সাথে বাকি জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে বলে পুলিশ জানা যায়।তাছাড়া গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পুলিশে এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়:০৩:১৮ মিনিট
৯ই এপ্রিল ২০২৫ইং,
এএটিকেএস/বিসিএন