জেলা প্রতিনিধিঃ
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক বলেছেন,ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আমাদের জন্য গ্লানিকর।ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিনিয়তই বিব্রত বোধ করেন বলে মন্তব্য প্রকাশ করেন তিনি।এছাড়া তিনি আরো বকেন,যারা মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহন না নিয়েও নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি ও নিজেদেরকে পরিচিত করছেন ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে বিভিন্ন তদবিরে মাধ্যমে ,এটি বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।তাছাড়া কিছু বিষয় আছে আমরা এখন আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছি।এছাড়াও হাইকোর্টে অন্তত ২৭০০ রিট মামলা রয়েছে,এগুলো নিষ্পত্তির প্রয়োজন আছে।সব মামলাই একই ধরন।আমরা চেষ্টা করছি ,সবগুলো মামলার রায় একসঙ্গে পাওয়ার জন্য,বৃহস্পতিবার (১৭ই এপ্রিল২০২৫ইং)ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।তিনি আরও বলেন,মুজিবনগর সরকারকে বিপ্লবী সরকার হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।মুজিবনগর সরকার আমাদের বাস্তব ইতিহাস।ইতিহাসের ওপর কোনো কিছু আরোপ করা যায় না।মুজিবনগর সরকার অত্যন্ত গৌরব ও বীরত্বের অধ্যায়।এটাকে আমরা প্রবাসী সরকার বা অস্থায়ী সরকার বলি।এ সরকারের শপথগ্রহণ জাতির জন্য গৌরবোজ্জ্বল একটি অধ্যায় ছিলো।এটা অমলিন থাকবে চিরকাল।এটা চিরকাল বরণ করতে ও উদ্যাপন করতে হবে।১৭ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এ বৈদ্যনাথতলা ও মেহেরপুরসহ এ অঞ্চলকে ধন্য করেছে।তবে মুজিবনগর সরকারকে সাংবিধানিক সরকার উল্লেখ করে এ উপদেষ্টা আরও বলেন,তখনকার যারা নির্বাচিত হয়েছিলেন,তারাই এ সরকার গঠন করেছিলেন।মুজিবনগর সরকারকে আন্তর্জাতিক ভাবেই স্বীকৃত দেওয়া হয়েছে।তাই সেটি একটি সাংবিধানিক সরকার।এ সরকার আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সুসংগঠিত করেছে, মুক্তিযুদ্ধকে পরিচালিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গেও সম্পৃক্ত করেছে।১৭ই এপ্রিল২২০৫ইং এ বিপ্লবী সরকারই আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে নেতৃত্ব দিয়েছে।মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক সাংবাদিক দের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,জাতির ইতিহাস অমোচনীয় থাকা উচিত।গত ৫ই আগস্ট ২০২৪ইং পর মুজিবনগর কমপ্লেক্সের বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন,মুজিবনগরের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সরজমিন দেখে আগামীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেটা করা হবে,ঐতিহাসিক বস্তুনিষ্ঠতার নিরীক্ষে করা হবে।কোনো কিছুই আরোপিত হবে না।সত্যিকার কোনো ইতিহাস মোছানো যাবে।ক্ষতিগ্রস্ত সব স্থাপনা পুনর্নির্মাণ করা হবে।এসময় তিনি আরও বলেন ১৯৭১ইং সালের ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম সরকার’কে‘গার্ড অব অনার’দেওয়া দুই বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।এসময় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত জাহান চৌধুরী,খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হোসাইন শওকত,জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ,মেহেরপুরের পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম ,মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)পলাশ মণ্ডল ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়:০৫:৫০ মিনিট,
১৭ই এপ্রিল ২০২৫ইং,
এমএমএস/বিসিএন