নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আশুলিয়ার আউকপাড়ার মাজার গেইট এলাকার আনিছুর রহমান ওরফে পিস্তল রতনের ছেলে অপরাধ জগতের নব্য সম্রাট এই রিয়াজুল ইসলাম ওরফে পইট রিয়াজ।পুলিশে চাকুরী পাওয়ার পর নানা অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে এই কুখ্যাত রিয়াজ। ডাকাতি ও ধর্ষনের দায়ে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হলেও পুলিশি আইডি কার্ড দেখিয়ে নানা অপরাধ করার অভিযোগ চাকুরী চ্যুত রিয়াজের বিরুদ্ধে।জানা যায় রিয়াজের বিরুদ্ধে রয়েছে ধর্ষণ,ডাকাতিসহ একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ।রিয়াজের পিতা মোঃ আনিসুর রহমান ওরফে পিস্তল রতনও অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামি।সূত্রে জানা যায়,রিয়াজ একসময় পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করতেন।তবে মোটরসাইকেল ডাকাতি ও ধর্ষণ কান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সে চাকরি হারায়।এরপর থেকে তিনি তার পুলিশি আইডি(নং:৯৮১৮২০ ৫৫৭০)ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন বলে স্থানীয়রা দাবি করেন।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,রিয়াজ ও তার সঙ্গীরা পুলিশি আইডি দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি,চাঁদাবাজি ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।এ বিষয়ে পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বিষয়টি জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানান তারা।এদিকে,রিয়াজের পিতা আনিসুর রহমান রতনও একাধিক মামলার আসামি এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক।পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একের পর এক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।স্থানীয়রা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেছেন,আইডি কার্ডের অপব্যবহার বন্ধ করে রিয়াজ ও তার সঙ্গীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।পাশাপাশি, পলাতক আসামি আনিসুর রহমান রতনকে গ্রেফতারেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি এবিষয়ে অবহিত নয় বলে জানান।রিয়াজের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের সমন্বিত উদ্যোগে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না,তা এখন দেখার অপেক্ষায় সাধারণ মানুষ।
বাংলাদেশ সময়:
২৩শে এপ্রিল ২০২৫ইং,
এআরএন/বিসিএন,