নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সারাদেশে যখন নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে হইচই চলছে,তখন বান্দরবানে মিয়ানমারের স’ন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান আর্মি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আয়োজন করেছে‘Arakha Water Festival।এই উৎসবে অস্ত্রধারী আরাকান আর্মির সদস্যরা মঞ্চে উঠে সংগীত পরিবেশনসহ নাচ ও বক্তৃতা দেয়।এসময় তাদের চারপাশে পতাকা ও প্রতীক টাঙানো ছিল,যেন এটি বাংলাদেশের মাটিতে এক প্রকার’দখলদারিত্বের’ঘোষণাই।সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয়,স্থানীয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর একাংশ এই উৎসবে শুধু অংশ নেয়নি,বরং আরাকান আর্মিকে প্রকাশ্যে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।তাছাড়া একটি বিপজ্জনক অবস্থান,যা রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের প্রতি চরম অবমাননা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি।এদিকে উৎসবস্থলে বিজিবির উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও কোনো হস্তক্ষেপ না করা এক চরম ব্যর্থতার পরিচায়দানকারী।প্রশ্ন জাগে—তাহলে তারা কী রক্ষা করছে? এটি কি কৌশলগত অক্ষমতা,না কি রাজনৈতিক নির্দেশনার অভাব?এই আয়োজন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।এটি আরাকান আর্মির দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ,যেখানে তারা সাংস্কৃতিক,রাজনৈতিক ও সামরিক তিনটি স্তরেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার লাভের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে ধারণা অনেকের।পার্বত্য চট্টগ্রামজুড়ে ছায়া-রাষ্ট্র গঠনের ছক কষছে তারা।ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও কম জটিল নয়।আরাকান রাজ্যে চীনের কিউকপিউ বন্দরে ৯ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ,বিশাল খনিজ সম্পদ, আর সমুদ্রপথে আধিপত্য—এসব নিয়ে চীন,যুক্তরাষ্ট্র,রাশিয়া ও ভারত সবাই এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারে আগ্রহী।এই পরিস্থিতি তে ড.ইউনুস চীনে গিয়ে বলেছেন,এই অঞ্চলের সমুদ্রের একক অভিভাবক বাংলাদেশ।কিন্তু এর মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন—আমাকে ক্ষমতায় রাখলে তোমাদের আধিপত্য নিশ্চিত করবো।এ প্রস্তাব তিনি শুধু চীন নয়,যুক্তরাষ্ট্রকেও দিয়েছেন।এই ভূরাজনৈতিক খেলা আমাদের দেশকে চারটি পরাশক্তির প্রক্সি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে যাচ্ছে—যেখানে আমাদের মাটি ব্যবহৃত হবে,আমাদের নিরাপত্তা বিপন্ন হবে,কিন্তু লাভবান হবে কেবল বাইরের শক্তিগুলো।এছাড়া নাম প্রকাশের সার্থে একাদিক ব্যক্তি জানান,ভবিষ্যতে এদের বিস্তার আরো ভয়াবহতার রুপ ধারন করবে,যা বাংলাদেশের মানচিত্রের উপর প্রভাব বিস্তার করবে,এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ভবিষ্যৎ হতে পারে গাজা,আফগানিস্তান বা সিরিয়ার মতো—ধ্বংস,বিভক্তি,ও দাসত্বের পরিনত বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়:১০:০০ মিনিট
২৩শে এপ্রিল ২০২৫ইং
সিএসআর/বিসিএন,