স্টাফ রিপোর্টার।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবাধে অবৈধ রোড পারমিট(ফিটনেস) বিহীন যান চলাচলের অভিযোগ উঠেছে সচেতন মহলের।এছাড়াও থ্রি হুইলার,বেটারী চালিত অটোরিকশা,নসিমন,ইজিবাইকসহ রোড পারমিট(ফিটনেস)বিহীন বাস,ট্রাক চলমান রয়েছে অনবরত।তাছাড়া মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ হলেও তিন চাকার যানবাহন গুলো বেটারীচালিত(অটোরিকশা,ইজি বাইক,নসিমন)জিবনের ঝুকি নিয়ে মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।এতে বাড়ছে ছিনতাই,ডাকাতিসহ নানান ঘটনা।এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত শতশত যানবাহন চলাচল করে।যানবাহনের বৈধতা ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মহাসড়ক সংলগ্ন হাইওয়ে পুলিশের একটি থানা ও ফাঁড়ি থাকলেও কার্যকারিতা কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই।তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা যায়,ঢাকার গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত সেলফি পরিবহন,পদ্মা লাইন,নিলাচল,হিমাচল,শুভযাত্রা নামক ব্যানারেপরিবহন চলাচল করে।তথ্য অনুযায়ী সেলফি পরিবহনের নামে রোড পারমিট রয়েছে মাত্র ৫০ থেকে ৬০টি বাসের।কিন্তু এর বিপরীতে চলাচল করছে অন্তত দুই শতাধিক পরিবহন।এছাড়া পদ্মা লাইনের বাস চলাচল করছে ১০ থেকে ২০ টির মতো।অপর দিকে চিটাগং রোড থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত চলাচল করে নীলাচল ও হিমাচল পরিবহন।এ পরিবহনের রোড পারমিট রয়েছে ৩০ থেকে ৪৫ টির।কিন্তু এর বিপরীতে বর্তমানে চলাচল করছে ৮০ থেকে অন্তত ৯০ টির মতো গাড়ি।এছাড়া গুলিস্তান থেকে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত শুভযাত্রা পরিবহনের রোড পারমিট রয়েছে ৬৫টি।কিন্তু চলাচল করছে ৪০টির মতো গাড়ি।জেলা থেকে উপজেলা গুলোতে চলাচলের জন্য ৭৩টি গাড়ির রোড পারমিটের বিপরীতে প্রতিদিন চলাচল করে ৪০ থেকে ৪২টি গাড়ি।এদিকে সরেজমিন তথ্য সুত্রে দেখা যায়,রাজধানীর পার্শ্ববর্তী জেলা মানিকগঞ্জের ওপর দিয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক।প্রতিদিন এ মহাসড়ক দিয়ে চলা যানবাহন গুলোর অধিকাংশের হয় রোড পামরিট নেই,নয়তো নেই চালকের বৈধ কোনো লাইসেন্স।নামে বেনামে বিভিন্ন কোম্পানির ব্যানারসহ প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে চলছে অবৈধ যানবাহনগুলো।অন্য দিকে ফিটনেস না থাকা গাড়িগুলো ব্যবহার হচ্ছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য।বিআরটিএ’র দেওয়া রোডপারমিট (ফিটনেস)সার্টিফিকেট নেই,আবার অনেক চালকেরও লাইসেন্স নেই।তারপরও কীভাবে যানবাহনগুলো মহাসড়কে চলছে,তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় সচেতন মহলে।এক অনুসন্ধানে জানা যায়,হাইওয়ে থানা ও( বিআরটি)র কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই মহাসড়কে চলছে এসব অবৈধ যানবাহন গুলো।অপর দিকে মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও সেগুলো বাস-ট্রাকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানদিয়ে।ব্যস্ততম সড়কে কীভাবে এসব অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে,তা জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।তবে সচেতন মহলের অভিযোগ,কোনো না কোনো অদৃশ্য সুবিধার কারণেই এসব অবৈধ যানবাহন বেস্ততম সড়কে চলাচল করতে পারছে।অন্যদিকে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সংগঠন গুলোর দাবি করেন,হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএ’র নজরদারির অভাবেই অবাধে মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ যানবাহন।এদিকে নাম পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বাসের মালিক,চালক ও অটোরিকশার চালক বলেন,মহাসড়কে চলাচলের জন্য রোড পারমিট একটা ফরমালিটি মাত্র,সব চলাচল করতে পারবে,যদি সঠিক জায়গা ম্যানেজ করা যায়। যেমন পোশাক কারখানার শ্রমিক পরিবহনের জন্য যেসব গাড়ি ব্যবহার করা হয়,এছাড়া মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন(ইজিবাইক,নসিমন,অটোরিকশা)ইত্যাদি ওঠা সম্পুর্ন রুপে নিষেধ থাকলেও তা তোয়াক্কা না করে অনবরত চলাচল করছে।এদিকে(বিআরটি)মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলামের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,মহাসড়কে আমরা হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় ফিটনেস বিহীন যানবাহন ধরার অব্যবহিত এসব গাড়ির ফিটনেস এবং চালকদের লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,সব গাড়িরই রোড পারমিট আর ফিটনেস রয়েছে।তবে দুই-একটি গাড়ির চালকের হয়তো লাইসেন্সের মেয়াদ নেই।যাদের নেই,আমরা তাদের একটা সাময়িক শাস্তি প্রধান করে পুনরায় লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য জোর তাদিগ দিচ্ছি বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়:০৯:৩৫ মিনিট,
১১ই মে ২০২৫ইং
এসআইআর/বিসিএন