বিসিএন ডেস্ক
নিষ্পাপ একটি মেয়ে সামিয়া।যার বয়স ১২ বছর।এই বয়সে যে মেয়েটির থাকার কথা স্কুল বা মাদ্রাসায়।খেলা ধুলা করার কথা প্রিয় সহপাঠীদের সাথে।কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মমপরিহাস সামিয়াকে আজ যুদ্ধ করতে হচ্ছে জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত বেঁচে থাকার লড়াই।জন্ম থেকে তার হৃদয়ে রয়েছে ছিদ্রসহ ফুস ফুসের রক্তনালী সরুসহ ফুস ফুসের রক্ত সঞ্চালন কম।চিকিৎসক জানিয়েছেন,এই শিশু টির জীবন বাঁচাতে জরুরি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন,যারজন্য প্রয়োজন প্রায় তিন থেকে চার লক্ষ টাকা।কিন্তু অর্থই যেন আজ সবচেয়ে বড় বাধা সামিয়ার বেচে থাকা জীবন যুদ্ধে লড়াইয়ে।সামিয়ার বাবা একজন পোশাক শ্রমিক,মা গৃহিণী।সামিয়ারা চার ভাই বোন।বাবার সামান্য আয়ে চলে তাদের ছয় সদস্যের পরিবার।অভাবের সংসারে প্রতিদিনের খরচই যেখানে সংগ্রামের,সেখানে মেয়ের এতবড়চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।সামিয়ার চিকিৎসকরা ২০১৯ইং সালেই অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন।কিন্তু অর্থের অভাবে তা করা সম্ভব হয়নি।সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতি আরও সংকটময় হয়েউঠেছে সামিয়ার জীবন।এখন আর সময় নেই,দ্রুত অপারেশন না হলে নিস্পাপ সামিয়ার জীবন প্রদীপ নিবে যেতে পারে যে কোন সময়।এছাড়া হৃদরোগে আক্রান্ত সামিয়ার জন্য কিছু করতে না পারায় এবং সামিয়ার কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার অসহায় পিতা-মাতা।এসময় সামিয়ার অসহায় বাবা শামীম হোসেন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,আমার চার সন্তানের সাজানো গোছানো সংসারে সামিয়া দ্বিতীয় সন্তান।আমার মেয়েটি জন্ম থেকেইহৃদরোগ আক্রান্ত ছিলো।তখন আমরা বুঋতে পারি নাই।২০১৯ইং সালে আমরা জানতে পারি আমার মেয়েটির হার্টে ছিদ্র আছে।ডাক্তার অপারেশন করতে বলে কিন্তু টাকার অভাবে অপারেশন করতে পারি নাই।দিন দিন আমার মেয়েটি যন্ত্রণায় কষ্ট করে যাচ্ছে আর আমি বাবা হয়ে মেয়ের কষ্ট দেখে যাচ্ছি।না পারছি মেয়েকে ভালো ভাবে কিছু খাওয়াতে,না পারছি তার চিকিৎসা করাতে।তাই আমি আমার মেয়ের জীবন বাঁচাতে সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের কাছে সাহায্য সহযোগিতা কামনা করছি।মেয়ের জন্য কান্না করতে করতে হতভাগী মা রিমা বেগম বলেন,আমার মেয়েটি রাতে ঘুমাতে পারে না শরীরের যন্ত্রণায়।সারারাত তার হাত পা টিপে দিতে হয়।বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন।ডাক্তার বলেছেন জরুরিভাবে তাকে অপারেশন করতে হবে।তার অপারেশন করতে তিন থেকে চার লাখ টাকা দরকার।আমাদের যে অবস্থা তাতে সংসার চালানোই বড় কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।মা হয়ে না পারছি মেয়ের কষ্ট সহ্য করতে,না পারছি মেয়েরচিকিৎসা করতে।আমার মেয়ের এই কষ্ট দেখার আগে আল্লাহ কেন আমাকে মৃত্যু দিলো না।আমি আমার মেয়ের জীবন বাঁচাতে সরকারের পাশাপাশি সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের কাছে সাহায্য সহযোগিতা কামনা করছি।
বাংলাদেশ সময়:০৯:০০ মিনিট
১৮ই জুন ২০২৫ইং
এইচএএম/বিসিএন