স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাভার পৌরসভার ব্যস্ততম বিরুলিয়া রোড,যা রাজধানী ঢাকায় প্রবেশের অন্যতম বিকল্প পথ,বর্তমান রূপ নিয়েছে এক অচল যানজটের জনপদে।স্থানীয় দের অভিযোগ, বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম ব্যবহার করে একটি প্রভাব শালী চক্র রাস্তাটিকে ব্যবসার মাঠে পরিণত করেছে প্রকাশ্যে চলছে চাঁদাবাজি ও রাস্তা দখলের মহোৎসব।বিশেষ করে জাতীয় অন্ধ সংস্থা মার্কেট ও চৌরঙ্গী সুপার মার্কেটের সামনের অংশে গড়ে তোলা হয়েছে ভাসমান দোকান,যার বেশিরভাগই রাস্তার ওপরই স্থাপিত।দিনভর এসব দোকান এবং অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে শাহিবাগ চৌরাস্তা থেকে পুরো সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগেই থাকে।ফলে এয়ারপোর্ট বা উত্তরার দিকে যাতায়াত কারী মানুষ বিপাকে পড়ছেন প্রতিনিয়ত।স্থানীয়দের দাবি, এই চাঁদাবাজ চক্র বিএনপির নেতাদের নামে পোস্টার লাগিয়ে ও ছবি ছেপে ভাসমান দোকান দারদের কাছ থেকে নির্দ্বিধায় চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে।অনেক দোকানি আতঙ্কে কিছু বলতেও সাহস পান না।এই কৌশলে চাঁদা আদায় সহজ হয়,কারণ সাধারণ জনগণের ধারণা মতে বড় কোনো রাজনৈতিক নেতা এসব দোকান থেকে চাদার পেছনে সক্রিয় আছেন।তবে বিশ্লেষকদের মতে,৫ই আগস্ট গনঅভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনেরপর কয়েক দিন এই এলাকায় চাঁদাবাজি বন্ধ থাকলেও বর্তমানে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে চক্রটি।জাতীয় অন্ধ সংস্থা মার্কেট কর্তৃপক্ষ নিজেরাই সড়কের উপর টিনের চালা তুলে স্থায়ী দোকান বসিয়ে দিয়েছে,যা সরাসরি ট্রাফিক ব্যবস্থা ও জনস্বার্থ লঙ্ঘনের সামিল।কয়েকদিন আগেই এই মার্কেট এলাকায় চাঁদাবাজদের মধ্যে সংঘর্ষ হলে, মার্কেট কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি ধামাচাপা দিতে অন্ধদের দিয়ে মানববন্ধন করায়,তাছাড়া এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে ।এই ঘটনার পর থেকেই সাধারণ মানুষ একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলছেন,মার্কেট কর্তৃপক্ষ এবং একটি সংঘ বদ্ধ রাজনৈতিক চক্রের ছত্রছায়ায় এই চাঁদাবাজি চলছে।শুধু তা-ই নয়,চৌরঙ্গী সুপার মার্কেটের সামনেও একই অবস্থা।রাস্তার অর্ধেকজুড়ে ভাসমান দোকান বসানো হয়েছে যাতে করে একদিকে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে,অন্যদিকে সাধারণ জনগণের চলাফেরা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।স্থানীয় দের দাবি,অবিলম্বে রাস্তা থেকে এসব দোকান উচ্ছেদ এবং চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন, যেন রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে আর কেউ জনগণের কষ্টের কারণ না হতে পারে এমনটাই দাবী করেন সাধারণ জনগণ।
বাংলাদেশ সময়ঃ
১৭ই জুলাই ২০২৫ইং
ডিএসএম/বিসিএন