রংপুরে মিঠাপুকুর পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি)চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানকে(৫০)বাজারে জনসম্মুখে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে হারুন মিয়া(৪০)এর বিরুদ্ধে।এসময় পায়রাবন্দর ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে হত্যা করে পালোনোর সময় আটক হারুন মিয়া(৪০)করেন স্থানীয়রা।গতরোববার(৫ইনভেম্বর২০২৩ইং)আনুমানিক রাত ১০টার দিকে পায়রাবন্দ উপজেলার বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান এলাকাবাসী।নিহত পায়রাবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবার রহমান(৫০)জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি এবং ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর সাবেক আমির।হামলাকারী হারুন মিয়া(৪০)উপজেলার সদরপুর গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে।স্থানীয়রা সুত্রে জানা যায়,রাত আনুমানিক ১০ঘটিকার সময় ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমান(৫০)পায়রাবন্দ বাজারে তার ওষুধের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।এসময় হারুন মিয়া(৪০)বাজারে মাছ কাটার বটি দিয়ে চেয়ারম্যানকে পিছন থেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছেন রক্তাক্ত জখম করে।পরে ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবার রহমান কে এলাকাবাসী রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ(রমেক)হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনার বিষয়ে
মিঠাপুকুর থানার উপপরিদর্শক(এসআই)আবদুল্লাহ আল মামুন ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, হামলাকারী হারুন ও তার স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহের পরিষদের শালিসি কে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের প্রতি অসন্তোষ ছিলেন হারুন মিয়া(৪০)মুলত সে ক্ষোভ থেকে হারুন মিয়া(৪০)হামলা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এ বিষয়টি নিশ্চিত করে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোস্তাফিজার রহমান জানান, নিহতের মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ(রমেক)হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।এ ঘটনায় অভিযুক্ত হারুন মিয়া(৪০)কে আটক করা হয়েছে।এদিকে,চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হাজারো মানুষেরডল বাজারে বিক্ষোভ করতে থাকেন।ফলে উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।পরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।সহকারী পুলিশ সুপার(এএসপি)আবুল হাসান ও মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।