হবিগঞ্জের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ করা মামলায় এক চিকিৎসক ও পরিচালকের দুই ছেলেসহ চারজনকে শাহাবাগ থানা পুলিশে দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট।অভিযুক্ত আসামীদের আগাম জামিন চেয়ে তাঁদের করা আবেদন খারিজ করে তাদেরকে পুলিশের দিয়েছেন,গত মঙ্গলবার(১৪ই নভেম্বর ২০২৩ইং)এসময় মহামান্য বিচারপতি আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মোঃ বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ শুনানি দেন।এদিকে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের তথ্যমতে জানা যায়, অভিযুক্ত চারজন হলেন ওই নারীর অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক এস কে ঘোষ,এবং ওই হাসপাতাল মালিকের দুই ছেলে(পরিচালক)এ কে আরিফুল ইসলাম ও মোঃ তাবির হোসাইন এবং হাসপাতালের কর্মচারী মোঃ জনি আহমেদ।এসময় আদালত তাঁদের জামিন না দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।এবিষয়ে রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ গোলাম রব্বানী কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, হাইকোর্ট আদেশ অনুসারে বিকেলে তাঁদের শাহবাগ থানা–পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।এদিকে আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোঃ আবদুল হালিম কাফি।অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।আদেশের বিষয়টি জানিয়ে পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি জানান,আদালত শুনানিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে বলেন,কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক চিকিৎসাসেবার নামে ব্যবসা খুলে বসেছেন।অবৈধভাবে ক্লিনিকের নামে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান খুলে ভুল চিকিৎসা দিয়ে মানুষ মারার মত ঘটনা ঘটাবেন এ ধরণের অপরাধ করে কেওই পার পাবেনা বলে মন্তব্য প্রকাশ করেন এবং এমন একটা বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়াটা অতি প্রয়োজন,এতে সাধারণ মানুষের মাঝে সতর্কতার সৃষ্টি হয়।এছাড়া তিনি চিকিৎসকের উদ্দেশে বলেছেন,তিন দিনের মাথায় এমন গুরুতর রোগ বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেন।এতে তাঁর অবহেলা রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।রাষ্ট্রপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে তাদের দেওয়া তথ্য মোতাবেক জানা যায়,রহীমা খাতুন নামের এক নারী জরায়ুর টিউমার অস্ত্রোপচারের জন্য হবিগঞ্জের দি জাপান বাংলাদেশ নামক বেসরকারি একটি হসপিটালে যান।ক্কগত(৯ই সেপ্টেম্বর২০২৩ইং)ওই নারীর অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক এস কে ঘোষ। পরে(১২ই সেপ্টেম্বর ৩০২৩ইং) তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় এর পরবসর্বশেষ(২ইঅক্টোবর২৯২৩ইং)ওই নারী হাসপাতালে ফলোআপে আসেন। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে যান,পরে তাতক্ষনিক ভাবে সেখান থেকে তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়(১৫ই অক্টোবর২৯২৩ইং)তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায়(২৪শে অক্টোবর২০২৩ইং)মৃত নারীর স্বজনরা হবিগঞ্জ সদর থানায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।হবিগঞ্জ দি জাপান বাংলাদেশ বেসরকারি হসপিটালে অস্ত্রোপচারের সময় ওই নারীর বাঁ পাশের কিডনি ও জরায়ু কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয় এ মামলায়।এ মামলায় অভিযুক্ত আসামিপক্ষ আগাম জামিনের জন্য ভুল অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক এস কে ঘোষসহ চারজন গত মঙ্গলবার(১৪ইনবেম্বর২০২৩ইং) আদালতে হাজির হন।এব্যাপারে অভিযুক্ত চার আসামীর আইনজীবী আবদুল হালিম কাফির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,অস্ত্রোপচারের এক মাস ছয় দিন পর ওই নারী মারা যান।তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে রক্তে ইনফেকশন(সেপটিক)ছিল বলে এম এ জি ওসমানী মেডিকেলেরডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ রয়েছে।এছাড়াও মৃত ওই নারীর সিটি স্ক্যানের প্রতিবেদনে অঙ্গহানির কোনো তথ্য উঠে আসেনি বলে জানান তিনি।