ফরিদপুর জেলায় যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপভ্যানের সংঘর্ষের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জন।এছাড়া এ ঘটনায় আহত পাঁচজনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।গত সোমবার(১৬ই এপ্রিল ২০২৪ইং)সকাল আনুমানিক ৮ঘটিকার দিকে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শী তথ্য সুত্র থেকে জানা গেছে,ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হয়েছে।এছাড়া আহত সাতজনকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথে একজন ও হাসপাতালে আরও একজন মারা যান।তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।তবে নিহতরা সবাই ফরিদপুরের বাসিন্দা বলে জানা যায়।পুলিশ তথ্য সুত্রে জানা যায় জানা যায়,যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে মাগুরার উদ্দেশে যাচ্ছিল।কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় পৌঁছালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস মরদেহ উদ্ধার করেন।এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।সেখানে চিকিৎসাধীন আরও দুজনের মৃত্যু হয়।ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ আসাদুজ্জামান দুর্ঘটনায় নিহতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাতজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পথে একজন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান।বাকি পাঁচজনের উন্নতি চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।এদিকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক(ডিসি)মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার কাছেও এঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।একইসঙ্গে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।তাছাড়া ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃ সালাউদ্দিন চৌধুরীর কাছে ঘটনার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন,যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে মাগুরার উদ্দেশে যাচ্ছিল,কি কারনে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে,এছাড়াও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার গ্রহণের প্রক্রিয়াধীন চলছে বলে জানান তিনি।