টাঙ্গাইল ভূঞাপুরে ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে শিশু সন্তান রেখেই পালিয়েছেন স্ত্রী মোছাঃ জাকিয়া(২৪)।এ ঘটনায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।বুধবার(১৭ই এপ্রিল ২০২৪ইং) ভোরে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগীর নাম মোঃ ফিরোজ আহাম্মদ (৩২)।সে ওই গ্রামের মোঃ শাহজাহানের ছেলে এবং জাকিয়া পার্শ্ববর্তী জিগাতলা গ্রামের জামিলের মেয়ে।প্রতিবেশি ও স্বজনরের তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়,ভুক্তভোগী মোঃ ফিরোজ আহাম্মদ(৩৪)ও মোছাঃ জাকিয়া বেগম(২৪)পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।তাদের দাম্পত্য জীবনে ৭বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।সংসার জীবনে মাঝে মধ্যেই একে অপরকে দোষারোপ করে বিভিন্ন সময় ঝগড়া করতো।এনিয়ে সম্প্রতি একাধিকবার গ্রাম্য সালিশিও হয়।গত মঙ্গলবার(১৬ই এপ্রিল২০২৪ইং)রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।পরে বুধবার(১৭ই এপ্রিল২০২৪ইং)ভোরে ফিরোজের গোপনাঙ্গ কেটে সন্তান রেখেই স্ত্রী মোছাঃ জাকিয়া বেগিম পালিয়ে যায়।ভুক্তভোগী কাছে ঘটরান বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ ফিরোজ মিয়া জানায়,ভোরে ঘুমিয়ে ছিলাম।হঠাৎ করে আমার স্ত্রী মোছাঃ জাকিয়া বেগম(২৪) আমি গুমন্ত অবস্থায় আমার লিঙ্গ কেটে ফেলে পালিয়ে যায়।আমার ডাক-চিৎকার শুনে পরিবার ও প্রতিবেশিরা উদ্ধার করে ভূঞাপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন,পরে উন্নতি চিকিৎসার জন্যে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।এদিকে ফিরোজের মামা আরজু কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,বিয়ের পর থেকে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। ভোরে ঘুমানো অবস্থায় ভাগিনার লিঙ্গ কেটে ফেলে তাঁর স্ত্রী।পরে ফিরোজের ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন খবর পেয়ে তাকে রক্তেত অবস্থায় উদ্ধার করে ভূঞাপুর হাসপাতালে নিয়ে আসে।ঘটনার পরপরই তার স্ত্রী জাকিয়া বেগম বাড়ি থেকে পালিয়েছে।এছাড়াও গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল হোসেন চকদার জানান,বিষয়টি এলাকাবাসীর কাছ থেকে শুনেছি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ফিরোজকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা।এদিকে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার কাজল তালুকদার জানান,লিঙ্গের পুরো অংশ কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।পরে হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মোঃ আহসান উল্লাহ জানান, ঘটনাটি জেনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।তবে এখন পযন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।তবে আমরা এঘটনার লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে মুল আসামীকে গ্রেপ্তারের পুলিশ অভিযান চালাবে বলে জানান তিনি।