1. info@www.bcnnews24.com : BCN NEWS 24 :
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
যৌথ বাহিনীর অভিযানে আশুলিয়ায় চিহ্নিত দুই মাদক ব্যবসায়ী গাঁজাসহ গ্রেফতার। রাজধানী মিরপুর ডিওএইচএসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ডাকাতি,লুটপাটকৃত মালামালসহ গ্রেপ্তার ৪। আশুলিয়ায় শহীদ স্মরণে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। সাভারের বিরুলিয়ার রাস্তা দুইপাশ দখল করে চাঁদাবাজি,ভোগান্তিতে নাকাল পথচারীরা। জুলাই বিপ্লব কারো একক সম্পত্তি নয়,এটা সার্বজনীন—সাভারে স্মরণ সভায় মোহাম্মদ তমিজ উদ্দিন। দুটি কিডনী অচল,অসহায় রোগীকে বাঁচাতে কনসার্ট আয়োজনসহ পাশে দাড়ালেন বিএনপির নেতা লায়ন মোঃ খোরশেদ আলম। প্রতিবন্ধী মিমের খোঁজে পথে পথে ঘুরছে বৃদ্ধ নানী আমেনা বেগম। ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার। রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪। রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে বরিশালে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন(ববি)’র শিক্ষার্থীরা।

ডিবি অফিসে জোর করে খাবার টেবিলে বসিয়ে ভিডিও করা হয়েছিল:সমম্বয়কদের যৌথ বিবৃতি।

নিজস্ব প্রতিবেদক।
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪
  • ২১৫ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা মহানগর ডিবি অফিসে ছাত্র আন্দোলনে সকল কর্মসূচি প্রত্যাহারের সংক্রান্ত বিবৃতির ভিডিও স্টেটমেন্ট শিক্ষার্থীরা সেচ্ছায় দেয়নি বলে দাবী জানান।তাদের জোর করে খাবার টেবিলে বসানো হয়েছিল বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমম্বয়ক।শুক্রবার(২ই আগস্ট ২০২৪ইং)গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব তথ্য জানান।এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা।বিবৃতিতে বলা হয়,গত(২৬শে জুলাই ২০২৪ইং)ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক মো: নাহিদ ইসলাম,আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার’কে ডিবি পুলিশ জোরপূর্বক মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে আসে,এবমগ শারীরিক নির্যাতন করেন তাদের’কে,পরে মো:নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ছিল।গত(২৭শে জুলাই২০২৪ইং)সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ’কে সাইন্সল্যাব থেকে জোরপূর্বক ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে আসা হয়।পরে গত(২৮শে জুলাই ২০২৪ইং)ভোরে সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম’কে তার বাসা ভেঙে জোরপূর্বক ডিবি অফিসে নিয়ে আসা হয়।এ বিবৃতিতে আরও বলা হয়,মূলত আন্দোলন ও নেতৃত্বকে ছত্রভঙ্গ করতেই ১৯শে জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের গুম,গ্রেপ্তার,নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে।এর ধারাবাহিকতায় নিরাপত্তা’র নামে ছয় সমন্বয়ক’কে সাতদিন ধরে ডিবি হেফাজতে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিবি প্রধান নিরাপত্তার কথা বললেও আমাদের আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার জন্যই ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছিল।এছাড়া আমরা গুম গ্রেপ্তার ও নির্যাতন থেকে নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম,আমরা আমাদের মত প্রকাশের অধিকারের নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম।কিন্তু অসাংবিধানিক ও আইনবহির্ভূতভাবে আমাদেরকে ডিবি হেফাজতে আটকে রাখা হয়। প্রথমে নিরাপত্তার কথা বললেও পরে আদালতের কথা বলা হয়।আদালতের আদেশ ছাড়া নাকি আমাদের ছাড়া যাবে না।বিবৃতিতে সমন্বয়করা বলেন,আন্দোলন প্রত্যাহার করে ডিবি অফিস থেকে প্রচারিত ছয় সমন্বয়ককের ভিডিও স্টেটমেন্টটি আমরা স্বেচ্ছায় দেইনি।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সিদ্ধান্ত ডিবি অফিস থেকে আসতে পারে না।সারা দেশের সব সমন্বয়ক ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ব্যতীত কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গৃহীত হবে না।এদিকে ডিবি অফিসে আমাদের জোর করে খাবার টেবিলে বসিয়ে ভিডিও ধারন করা হয়।আমাদের ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিবারকে ডেকে ১৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় এবং মিডিয়ায় মিথ্যা স্টেটমেন্ট দেওয়ানো হয়।আমাদের শিক্ষকরা দেখা করতে এলে,দেখা করতে দেওয়া হয়নি।তারা বলেন,অন্যায়ভাবে সমন্বয়কদের আটক,সারা দেশে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে গত(৩০শে জুলাই ২০২৪ইং)রাত থেকে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম,আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের ডিবি অফিসে আটক অবস্থায় অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।পরবর্তীতে সে খবর জানামাত্র সারজিস আলম,মোঃ হাসনাত আব্দুলাহ ও নুসরাত তাবাসসুমও অনশন শুরু করেন।অনশনের কথা পরিবার ও মিডিয়া থেকে গোপন করা হয়।প্রায় ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় অনশনের পরে ডিবি প্রধান ছয় সমন্বয়ককে মুক্তির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিলে অনশন ভাঙা হয়।(১ই আগস্ট ২০২৪ইমগ)দুপুর দেড়ঘটিকার আমাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।গত সাতদিন ডিবি অফিসে আমাদের ও আমাদের পরিবারের সাথে নানা হয়রানি,নির্যাতন ও নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে।আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই আমাদের অন্যায়ভাবে আটকের পর শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল।সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ছাত্র-নাগরিকের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।সরকার এখনও শিক্ষার্থীদের ওপর দমননীতি অব্যাহত রেখেছে এবং সারা দেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করছে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।এছাড়া বিবৃতিতে আরও বলা হয়,ছাত্র-নাগরিক হত্যার বিচার ও আটক নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।এছাড়াও সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকদের প্রতি আহ্বান থাকবে,সরকারের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও দমন-পীড়নকে তোয়াক্কা না করে রাজপথে নেমে আসুন।শহীদের রক্ত বৃথা যাবে না বলে দাবী জানিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত