আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল এক গার্মেন্টস কর্মকর্তার বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে এক শ্রমিকের হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।সোমবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার পলাশবাড়ী বাতানটেক এলাকায় শাহরিয়ার গার্মেন্টসের কর্মকর্তা মোঃ আলম হোসেনের বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে তার হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।নিহত দুরুল হুদা(৪২)চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার মোবারকপুর গ্রামের মৃত বাহার আলীর ছেলে।তিনি আশুলিয়ার পলাশবাড়ী কাঠাল তলা এলাকায় ইনতেফা নামক কীটনাশক কারখানায় চাকুরী করেন এবং তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা শাহারিয়া গার্মেন্টসে কোয়ালিটি পদে চাকুরী করতো এবং বাতানটেক এলাকায় উক্ত কর্মকর্তার বাসায় ভাড়া থাকতো।স্থানীয়রা জানান,আজ দুপুর ২,৩০ মিনিটের দিকে নিহতের স্ত্রী মেহেরুন্নেছার ডাক-চিৎকার শুনে আমরা ছুটে আসি এবং দেখতে পাই রুমের মেঝেতে দুরুল হুদার মৃতদেহ হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় রয়েছে।খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসেন পুলিশ।এবিষয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই)মোঃ মালেক জানান,এলাকাবাসীর খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি এবং পোশাক কারখানার কর্মকর্তা মোঃ আলম হোসেনের মালিকানাধীন ফ্ল্যাটবাড়ির তিন তলার একটি কক্ষ থেকে হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করি।তবে কে বা কাহারা এ হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে তা তদন্ত শেষে বলা যাবে।অধিকতর তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পিবিআই ও র্যাবের সদস্যসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন এছাড়াও আশুলিয়া থানার ওসি(অপারেশন)মোঃ জামাল শিকদার বলেন,মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।নিহতের হাত ও পা বাঁধা ছিল।তার শরীরে ও মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।হত্যার মূল কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।