আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন কে সামনে রেখে আগামী ৭ই জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বহু এলাকার প্রার্থীদের মধ্যে আগ্রহ নেই বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)।গত শুক্রবার(২৯শেডিসেম্বর২০২৩ইং)সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য প্রকাশ করেন।তিনি আরো বলেন,দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দলের ভোটবর্জন এবং একমাত্র ভোটার শেখ হাসিনার ভাগবাটোয়ারার নির্বাচনে কে জিতবে তার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে হয়ে গেছে।এছাড়াও প্রার্থী নিজেও প্রচার থামিয়ে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।জাতীয় নির্বাচনের প্রচার চালানোর জন্য দলীয় সমর্থকদের যে হাতখরচ বহন করতে হয়,তা প্রার্থীরা দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন।প্রার্থীর পক্ষে প্রচারের জন্য যে নির্বাচনী ক্যাম্প খোলা হয়েছিল,এখন তা জনশুন্য।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির)নেতা বলেন,শুরুতে ক্ষমতাসীন দলের মদদপুষ্ট গণমাধ্যম নানা অ্যাঙ্গেলে প্রচার চালিয়ে নির্বাচন জমানোর চেষ্টা করেছিল।কিন্তু প্রার্থী ও তাদের সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের ভোট নিয়ে আগ্রহ না থাকায় গণমাধ্যমের আগ্রহও ভাটা পড়েছে মন্তব্য প্রকাশ করেন।এদিকে দলীয় নানা চাপের কারণে তারাও প্রচার চালাতে বাধ্য হচ্ছেন।তাছাড়া এই নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে নিজের পোলিং এজেন্ট দেওয়া নিয়েও প্রার্থীদের মধ্যে কোনো আগ্রহ নেই। কেউ কেউ পোলিং এজেন্ট সংগ্রহের জন্য বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন।তবে যত যাই করুক-কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবে না জানিয়েছেন তিনি।৭ই জানুয়ারি ২০২৩ইং শেখ হাসিনাকে লাল কার্ড দেখিয়ে বিদায় করবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ।এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্রকামী মানুষের চলমান আন্দোলন এগিয়ে যাবে,জনগণের বিজয় হবেই হবে বলে জানান তিনি।দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি আরও বলেন,অবৈধ ক্ষমতার মেয়াদ বাড়াতে পূর্বনির্ধারিত ফলাফল ঘোষণার পাতানো ছক নির্বাচন ঘিরে দেশে এক অকল্পনীয় ভয়ংকর অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে।এদিকে বন্দুক-পিস্তল,রামদা,হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল করছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী,প্রশাসন,রাষ্ট্রযন্ত্র প্রিজাইডিং অফিসার সব আওয়ামীগময়-একাকার হয়ে গেছে।(বিএনপি)সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন,ছলে-বলে-কৌশলে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনার জন্য মরিয়া তারা। প্রতিটি জনপদের মানুষ আমি-ডামি প্রার্থী আর তাদের সমর্থক এবং প্রশাসনের দলবাজ কর্মকর্তাদের প্রকাশ্য হুমকি-ধমকিতে সন্ত্রস্ত।ভোট কেন্দ্রে না গেলে গুম,হত্যাসহ,গ্রাম ছাড়া করার হুংকার দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।এছাড়াও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণ করা কোনো কোনো প্রার্থী হুমকি দিচ্ছেন,ভোট কেন্দ্রে না গেলে নাগরিক সুবিধা বাতিলসহ মসজিদ-কবরস্থান বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।