ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি)সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড.নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের প্রাথমিক সত্যতার প্রমাণ পেয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।এর ভিত্তিতে বিষয়টিকে তদন্তের জন্য হাইকোর্ট নির্দেশিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(ঢাবি)কেন্দ্রীয় যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে পাঠানো হয়েছে।গত মঙ্গলবার(২ই জানুয়ারি ২০২৪ইং)বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য ড.এ এস এম মাকসুদ কামাল।এদিকে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলকে আগামী তিন মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।অধ্যাপক ড.নুরুল ইসলামকে এই সময়(তিন মাস)সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি আরো বলেন,কমিটি যৌন নিপীড়নের সত্যতা প্রমাণ পাওয়ায় বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে পাঠানো হয়েছে।তাদের তিনমাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।তদন্তের স্বার্থে এই তিন মাস অধ্যাপক ড.নুরুল ইসলামকে সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য,গত বছর ১১ই নভেম্বর ২০২৩ইং এক নারী শিক্ষার্থীকে রুমে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন ও আপত্তিকর স্থানে স্পর্শ করার অভিযোগ ওঠে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড.নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।বিষয়টি উল্লেখ করে ২৮শে নভেম্বর ২০২৩ইং উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন ওই ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী।এ লিখিত অভিযোগের উপর ভিত্তি করে গত বছরের ৩০শে নভেম্বর ২০২৩ইং সিন্ডিকেটের এক সভায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়।আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ড.সীমা জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়।কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন-গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান এবং সিন্ডিকেট সদস্য ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ।