জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের বলয় রাখতেই‘বিপথগামী’কতিপয় নেতাকর্মী দিয়ে বিদ্রোহ ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এক সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। মূলত নতুন কমিটিতে নিজেদের বলয়ের লোককে নের্তৃত্বে আনতে তারা এ কাজ করছেন বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের।সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে হল কমিটি না দেয়া,কর্মীদের খোঁজ-খবর না রাখাসহ একাধিক অভিযোগ তুলে তাকে‘অবাঞ্ছিত’ঘোষণা করে বিক্ষোভ করেছে শাখা ছাত্রলীগের কিছু কর্মী।এর আগে সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেলের বিপক্ষেও তার অনুসারী কিছু কর্মী বিদ্রোহ করে।এর প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ,শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কিছু নেতার নির্দেশে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে‘বিদ্রোহী’ অংশের নেতাকর্মীরা।মূলত নতুন কমিটিতে নিজেদের বলয়ের লোককে বসাতে এ কাজ করছেন তারা। এর আগে ২০১৯ইং সালে একই পদ্ধতিতে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করে তুলেছিলো সাবেক ছাত্রলীগে নেতাদের এই চক্রটি।বিদ্রোহী অংশের নের্তৃত্বে রয়েছেন,শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাহিদুজ্জামান শাকিল,ফয়সাল খান রকি সাজ্জাদ শোয়াইব চৌধুরী,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেলিন মাহবুব,আরাফাত ইসলাম বিজয়,সাংগঠনিক সম্পাদক চিন্ময় সরকার ও অর্থ সম্পাদক তৌহিদুল আলম তাকিদ।বিদ্রোহীরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের অনুসারী হলেও তারা সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল(সাবেক সেক্রেটারি) এর রাজনীতি করতো।শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়,শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল নিজের বলয়কে প্রতিষ্ঠিত করতে তার অনুসারীদের দিয়ে বর্তমান কমিটিকে বির্তকিত করে ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।কমিটির শুরু থেকে তাদের উপর নিজের প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন তিনি। নানা সময়ে কমিটির সদস্য কাছে নানা এসাইনমেন্ট দিচ্ছেন।নিজে স্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের শিক্ষক হিসেব নিয়োগ দিতে কমিটির উপর ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করেন সাবেক এই নেতা।এই সব কাজে ব্যর্থ হয়ে কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেন।এক্ষেত্রে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সাবেক পানি-সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাকে সবার কাছে প্রচার করছেন।এই চক্রের অন্যতম সমন্বয়ক হলেন ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক হিমেল মাহবুব। যিনি নিজেকে সাবেক এক উপমন্ত্রীর আত্নীয় পরিচয় দিয়ে থাকেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাখা ছাত্রলীগের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন,হিমেল মাহবুব ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির খুব কাছের মানুষ হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন।শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ কর্মীদেরকে অর্থের বিনিময়ে আগামী কমিটির নেতা বানানোর প্রতিশ্রুতি দেন।গত দুই বছরে হিমেল মাহবুবকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হলের কর্মীদের সাথে বহুবার মিটিং করতে দেখা যায়।অনেকে এসব মিটিংয়ের ছবি সাংবাদিকদের দেখান।হল কমিটিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটির শুন্য পদে তাদের বসানোর প্রতিশ্রুতি দেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল বলেন,অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হিমেল মাহবুব বলেন,এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেন,জাবি শাখা ছাত্রলীগ নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্রই হয়েছে।তবে সংগঠনের যায়গায় আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম।এখনো আছি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন জানান,উনারা আমার সংগঠনের বড় ভাই,উনাদের সমন্ধে আমি কিছু বলব না।তারা যা করেছেন তা ক্যাম্পাসের নেতা-কর্মীরা জানে,হয়তো আপনারাও জানেন।তবে আমি সংগঠনকে গতিশীল করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।