সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় সঠিকভাবে দোষী নির্ণয়ে তদন্তের জন্য প্রয়োজনে ৫০ বছর সময় দিতে হবে বলে মন্তব্য প্রকাশ করেছেন আইন,বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।বৃহস্পতিবার(১ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং)সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা বলেন,এছাড়াও সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার সাথে যারা জড়িত,তাদের ধরা হবে।সেজন্য আপেক্ষিক অর্থে বলা হয়েছে ৫০ বছর সময় লাগলেও সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত অপরাধীদের ধরা হবে।তিনি আরও বলেন,বিভিন্ন দেশে বিদেশে ৪২ বছর পর খুনের মামলার আসামি গ্রেফতার আর ২৪ বছর পর রহস্য উন্মোচনের উদাহরণও আছে।সাগর-রুনি হত্যা মামলায় পুলিশ চেষ্টা করেও প্রকৃত আসামিদের ধরতে পারছে না।তদন্ত যাতে বন্ধ না হয়,সেজন্য যতদিন পর্যন্ত আসল অপরাধীদের ধরা না হবে,ততদিন পর্যন্ত তদন্ত চলবে,সেটাই বলেছি আমি।সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ১২ বছর পরও কেন শেষ হয়নি–এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন,প্রকৃত দোষী চিহ্নিত করতে তদন্তে সময় লাগতেই পারে।এজন্য যতদিন সময় লাগবে,তা দিতে হবে।পুলিশকে জোর করে তদন্ত শেষ করিয়ে চার্জশিট দেওয়াটাও সঠিক হবে না বলে আমি মনে করি।তদন্তের সময় দিতে হবে,৫০ বছর লাগলেও দিতে হবে।বৃহস্পতিবার(১ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪)সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রীর বলা এ কথা দেশব্যাপী আলোচিত-সমালোচিত হয়।সময় দিতে হবে,৫০ বছর লাগলেও দিতে হবে-এ বক্তব্য সম্পর্কে শুক্রবার মন্ত্রী এসব কথা বলেন।শুক্রবার(০২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং)মসকালে আখাউড়া রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।এ সময় তিনি আরো বলেন,আইনি কাঠামোতে বলা আছে,যারা প্রকৃত ভাবে এই ধরনের জঘন্য অপরাধী নন,তাদের ধরা যাবে না।যারা প্রকৃতভাবে দোষী,তাদেরকেই ধরে আইনের সর্বচ্চ বিচার প্রধান করা হবে।আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।