শাহাদাৎ হোসেন সরকার(আশুলিয়া)।
আশুলিয়ার আউক পাড়ায় ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সমবায় সমিতির বিশ একর সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারায় চলছে মহোৎসব জানা যায় ভূমি সংস্কার বোর্ড কর্তৃক ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সমবায় সমিতি ২০০৪ইং সালে বিশ একর সম্পত্তির বৈধ লিজি মালিক হয়।এরপর তারা উক্ত জমির চতুর্দিকে বাউন্ডারি ওয়াল করে ভিতরে ফলজ ও বনজ গাছ রোপন করে দীর্ঘদিন ভোগ দখলে আছেন ২০১০ইং সালে স্থানীয় একটি চক্র উক্ত সম্পত্তি দখল করার জন্য মালিকানা সম্পত্তি দাবি করে একটি মামলা দায়ের করেন।উক্ত মামলা দায়ের এর পর ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সমবায় সমিতির বৈধ লিজিরা সেই মামলায় লড়াই করে,চক্রটি সেই মামলায় হেরে যায়।এরপর উক্ত জমিতে এসে দেখেন স্থানীয় কয়েকটি ভূমিদস্যু চক্র ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সমবায় সমিতির উক্ত সম্পত্তির ওয়াল ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে বনজ ফলজ গাছ কেটে অবৈধ ভাবে তৈরি করছেন ঘর বাড়ি দোকান পাট সহ স্থায়ী স্থাপনা।যেখানে সরকারি এক সোনা লীজি জমিতে স্থায়ী ভবন করার কোন আইন নাই, অথচ উক্ত জমিতে তৈরি হচ্ছে স্থায়ী বহুতল ভবন সহ অবৈধ স্থাপনা।উক্ত জমি উদ্ধারের সরকারের পক্ষে ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সমবায় সমিতির আইয়ুব আলী সিকদার এবং মোতাহার হোসেন এবিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে দায়ের করেছেন অভিযোগ।এবং এই বিষয়টি ভুমি সংস্কার বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে তারা সরজমিন প্রতিবেদন চেয়ে একটি সমন্বয় কমিটির সহ তাদেরকে ঘটনাস্থলে পাঠান।এরই পরিপ্রেক্ষিতে(২৪শে ফেব্রুয়ারি ২৯২৪ইং)শনিবার বিকেলে উক্ত জমি পরিদর্শন করেন মোঃ আইয়ুব আলী শিকদার সভাপতি ন্যাশনাল প্লাজা সমবায় সমিতি।মোতাহার হোসেন সাধারণ সম্পাদক ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সমবায় সমিতি এবং মোঃ খোকন সভাপতি বাস্তহারা সমাজ কল্যাণ সমবায় সমিতি ও সভাপতি আউপাড়া সমন্বয় কমিটি।এব্যপারে মোতাহার হোসেন সাধারণ সম্পাদক ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সমবায় সমিতি বলেন ২০০৪ইং সালে ২০ একর সম্পত্তি ভূমি সংস্কার বোর্ড কর্তৃক লিজ নিয়ে শান্তিপূর্ণ বসবাস করে আসছিলাম।হঠাৎ একটি চক্র এই সম্পত্তি মালিকানা দাবি করে একটি মামলা দায়ের করে সে মামলায় লড়তে অনেক দিন কেটে যায়।এবং তারা মামলায় হেরে গেলে আমরা সজমিনে উক্ত জমিতে আসলে দেখতে পাই আমাদের জমির বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে গাছ গাছালি কেটে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করছেন একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। আমরা উক্ত জমিতে প্রবেশ করতে চাইলে তারা দিচ্ছেন বিভিন্ন হুমকি সহ প্রাণনাশের হুমকি আমি এ বিষয়ে নিজে বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেছি।মোঃ আইয়ুব আলী সিকদার বলেন আমি উক্ত সম্পত্তি ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সমবায় সমিতির পক্ষে লিজি মালিক এবং ভোগ দখলে রয়েছি।তবে একটি চক্র আমাদের স্থাপনা ভেঙে তারা উক্ত সম্পত্তি প্লট আকারে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা, ভুক্তভোগী অসহায় লিজিরা রাজস্ব হারাচ্ছেন সরকার।আমরা সরকারের পক্ষে এবিষয়ে ভূমি সংস্কার বোর্ডকে অবগত করলে উক্ত জমিতে কে বা কারা অবৈধভাবে দখল করে আছেন জানার জন্য একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করেন এবং সজমিন তদন্ত প্রতিবেদন ভূমি সংস্কার বোর্ডেকে জমা দেওয়ার জন্য আদেশ করেন।উক্ত সমন্বয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ খোকন মিয়ার সাথে ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সমবায় সমিতির পক্ষে আমি ও সকল সদস্যবৃন্দ সজমিনে পরিদর্শন করেছি।এবং এ বিষয়ে সরজমিন তদন্ত প্রতিবেদন ভূমি সংস্কার বোর্ডকে জানানো হবে তারা যে সিদ্ধান্ত দেয় উক্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।এবিষয়ে মোহাম্মদ খোকন সভাপতি বাস্তহারা সমাজ কল্যাণ সমিতি এবং সভাপতি আউটপাড়া সমন্বয় কমিটি বলেন সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে এবং সরকারি রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে বৈধ লীজিদের মধ্যে উক্ত সম্পত্তি বন্টন করে সমন্বয় করে দেয়া হবে।এর আগে কোন ব্যক্তি উক্ত স্থানে কোন ধরনের কাজকর্ম করতে পারবে না।সরকারের স্বার্থ বা সংশ্লিষ্ট কোন কাজে বাধা প্রদান বা,অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটালে ভূমি সংস্কার বোর্ড তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।সকল সমস্যার সমাধানের জন্য সকল দখলকৃত সকল দায়িত্বরত ব্যক্তিদের আগামী(২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং)রবিবার ভূমি সংস্কার বোর্ডে সকাল দশটার মধ্যে উপস্থিত থাকার জন্য জোর দাবি জানানো হয়েছে।