একরামুল হক-ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন পাওয়ার লিমিটেডের(ডিপিডিসি)বনশ্রী ডিভিশনের গ্রাহক।তার বাড়িতে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার ৩২টি।কিন্তু রিচার্জ করতে গেলে সবগুলোতেই দুই থেকে আড়াইশ ডিজিটের টোকেন নম্বর আসছে।ফলে রিচার্জ করতে গিয়ে অনেক সময় ব্যয় করতেভ হচ্ছে তাকে।তার মতে,এটা হলো ডিজিটাল বিড়ম্বনা।ভুক্তভোগী একরামুল হক বলেন,প্রি-পেইড মিটার রিচার্জ করতে গেলেই ২২০টি সংখ্যা ওঠানো একটি বিরক্তিকর কাজ।সংশ্লিষ্টরা সফটওয়্যার আপডেট না করে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে গ্রাহককে দিয়ে কার্ড রিচার্জ করাচ্ছে।এতে সাধারণ গ্রাহকদের ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে।এভাবেই বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার রিচার্জ নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন গ্রাহকরা। বিদ্যুৎ অফিসে ধরনা দিয়েও সুরাহা মিলছে না ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের।বিষয়টি সমাধানে কাজ চলছে বলে দায় সারছে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলো।সরজমিনে গিয়ে তথ্যসুত্র থেকে জানা যায়,বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার রিচার্জের ক্ষেত্রে সাধারণত ২০ ডিজিটের একটি টোকেন নম্বর মেসেজের মাধ্যমে দিয়ে থাকে গ্রাহকের মুঠোফোনে।সেই টোকেন নম্বরটি মিটারে প্রবেশ করালে রিচার্জ সম্পন্ন হয়।কোনো ধরনের ভুল হলে সেই রিচার্জ আর সফল হবে না। লএকাধিকবার ভুল হলে মিটারটি লক হয়ে যায়।তবে ২০ ডিজিটের নম্বরটি কিছুটা সহজ হলেও বর্তমানে বিপত্তি বেঁধেছে। সেই ২০ ডিজিটের নম্বরটি এখন স্বাভাবিকের চেয়ে ১০-১২ গুণ বেশি অর্থাৎ ২০০ থেকে ২২০ ডিজিট আসছে।এ নিয়ে ভোগান্তিতে ডিজিটাল মিটার ব্যাবহারকারী গ্রাহকরা।লম্বা এ ডিজিট মিটারে প্রবেশ করাতে একদিকে যেমন ভোগান্তি, অন্যদিকে ভুলের কারণে কখনো কখনো লক হচ্ছে মিটার। ভোগান্তির বিষয়ে খিলক্ষেত এলাকার বাসিন্দা মো: সোহাগ হাওলাদার নামের এক ভুক্তভোগী বলেন,আমার বিদ্যুতের মিটারটি বাসার সিঁড়ির নিচে।যেখানে বসাও যায় না,আবার দাঁড়িয়েও থাকা যায় না।এমন একটা জায়গায় কোমর বাঁকা করে দাঁড়িয়ে ২৪০টি ডিজিট নির্ভুলভাবে মিটারে প্রবেশ করানো বেশ কষ্টকর ব্যাপার। আবার তিনবার ভুল করলে মিটার লক হয়ে যাবে।প্রথমবার আমার ভুল হয়েছিল,দ্বিতীয়বারে অনেকবার চেক করে সবগুলো ডিজিট মিটারে প্রবেশ করে রিচার্জ সম্পন্ন করেছি।দেশ ডিজিটাল হয়েছে,বর্তমানে আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া।ডিজিটাল দেশের সব কিছু হবে সহজসাধ্য, ঝামেলামুক্ত।কিন্তু হচ্ছে তার উল্টো। বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার রিচার্জের এমনভোগান্তিকে আমার কাছে ডিজিটাল ভোগান্তি মনে হচ্ছে।অঞ্জনা বেগম নামের আরেক গ্রাহক বলেন,আমি মিটারে নম্বর প্রবেশ করাতে গিয়ে মিটার লক করে ফেলেছি।বারবার অফিসে জানালেও দুদিন পর অফিস থেকে লোক এসে ঠিক করে দিয়ে যায়।এ ব্যাপারে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের(ডেসকো)ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার জহিরুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া সম্ভব হয়নি।আবার নারিন্দা এলাকার বাসিন্দা ও ডিপিডিসির গ্রাহক মকবুল হোসাইন বলেন,আমি যখনই মিটারে পাঞ্চ করতে গিয়েছি,আমার মিটারটি লক হয়ে গেছে। অফিসে ফোন দিতে দিতে জীবন প্রায় শেষ হয়ে যায়। এটার জন্য আবার অফিসে যেতে হচ্ছে এবং অফিস থেকে লোক এনেছি। কিন্তু দীর্ঘক্ষণেও সমাধান হয়নি। আমি টাকা দিয়ে কেন ভোগান্তি কিনব। ‘প্রি-পেইড মিটারে বিড়ম্বনার বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ক্ষোভ ঝেড়েছেন কোনো কোনো গ্রাহক। গ্রাহক ভোগান্তির সমাধান কোথায় তা জানতে রাজধানীর বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোতে যোগাযোগ করা হয়