ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও যানজটের অন্যতম বৃহৎ কারণ হয়ে উঠেছে নিবন্ধনহীন অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা।এছাড়া পুরান ঢাকার ওয়ারী এলাকাতেই প্রায় ২৫ হাজার বেটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে অবৈধভাবে।অবৈধভানে এই বেটারিচালিত অটোরিকশা চালানোর পেছনে রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকটি সিন্ডিকেট মিলে গড়ে উঠেছে।এসব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রিকশা চালাতে নিতে হয় স্টিকার,শধু তা-ই নয় দৈনিক ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে চাদা দিয়ে হয় বেটারিচালিত অটোরিকশা মালিকদের।এদিকে স্টিকার যক্ত করে বেশকিছু নামধারী ভুয়া সাংবাদিক,হিজড়া,স্থানীয় রাজনীতিবিদদের আলাদা আলাদা সিন্ডিকেট রয়েছে এধরনের বাণিজ্যের পেছনে।অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বাণিজ্য থেকে এ সিন্ডিকেটের বছরে চাঁদা আদায় করে প্রায়ই ৫০ থেকেব ৬০কোটি টাকারও বেশি।সোমবার(২৫ মার্চ২০২৪ইং) রাজধানীর মগবাজার,রামপুরা,কমলাপুর,যাত্রাবাড়ি শনিরআখড়া,সায়দাবাদ,টিকাটুলি,সদরঘাট,দয়াগঞ্জ,জুরাইন ও দারুসসালাম থানাধীন এলাকার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় এসব স্টিকার লাগিয়ে প্রতিনিয়ত চলতে দেখা যায়।অবৈধ এই স্টিকারের জোরে এসব রিকশা নিয়মিতই গলি থেকে এসে প্রধান সড়কগুলোতেও দাপিয়ে বেড়ায়।ফলে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয় শুধু তা-ই নয় এই বেটারিচালিত অটোরিকশা গতিবিধের কারনে ঘটছে দূর্ঘটাও।বেটারিচালিত অটোরিকশাচালক নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক সাংবাদিকদের এসব অবৈদ স্টিকার লাগানোর বিষয় প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,কারা এই স্টিকার দিচ্ছে আমি জানি না।তবে এই স্টিকারের জন্য রিকশামালিক প্রতিদিন আমাদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে কেটে নিচ্ছে।বিভিন্ন নামে-বেনামে বিভিন্ন কালারের এই স্টিকার মুল্য এক থেকে পাচ হাজার টাকাও বিক্রি হচ্ছে।এই স্টিকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার লাগিয়ে চলতে বলেছেন মালিক পক্ষ।বেটারিচালিত অটোরিকশা স্টিকার বানিজ্যের বিষয়ে যাত্রাবাড়ীর ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর মাহবুব শাহ্’কে প্রশ্ন করলে তিনি গণমাধ্যমের প্রশ্নের জানায়,আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছি।যদি কেউ মূল সড়কে চলে আসে,তাহলে তাকে অবশ্যই জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে।এছাড়াও দৈনিক প্রায় ৩০ থেকে ৫০টিরও বেশি অটোরিকশাকে জরিমানা করেন বলে জানান যাত্রাবাড়ীর ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর মাহবুব শাহ্।তিনি আরও বলেন,সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাস চলাচল করে।ঢাকা-চট্টগ্রাম,কক্সবাজার,কুমিল্লা,নোয়াখালী, সিলেট,ভৈরব,নরসিংদীর বাসগুলো এখান থেকে ছেড়ে যায়।এজন্যই এই সড়কটি সবসময় ব্যস্ত থাকে। কিন্তু অনেক অটো রিকশাচালক আছেন যারা জানেন না বা বোঝেন না বা হঠাৎ করেই মূল সড়কে চলে আসেন।এতে যানজটের সৃষ্টি হয়।যারা না বুঝে মূল সড়কে চলে আসেন,তাদেরকে আমরা প্রাথমিক ভাবে জরিমানা করে বুঝিয়ে দিচ্ছি যে,আপনারা মূল সড়কে আসবেন না।যদি আসেন তাহলে আপনাদেরকে পুনরায় জরিমানা করা হবে জানান ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর মাহবুব শাহ্’অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্যে যেন যানজট না বাড়ে সেজন্য ডিএমপির ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগ ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করছে।তারপরও এসব এলাকা থেকে অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারার পেছনে জনবল সংকটের বিষয়টি সামনে এনেছেন ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম।প্রতিটি প্রধান সড়কে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে এবং এটি নিয়মিত অভিযান হিসেবে অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এ উপ-পুলিশ কমিশনার।মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম বলেন, ওয়ারী এলাকায় ৩০ থেকে ৪০ হাজারের মতো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলে।সে তুলনায় ট্রাফিক পুলিশের টিম ছোট।ট্রাফিক পুলিশ যদি শুধু অটোরিকশা নিয়ে চিন্তা করে তাহলে অন্যান্য জায়গায় যানজট নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত ঘটে।বিপুল সংখ্যক ব্যাটারিচালিত রিকশা হওয়ায় শুধু জরিমানা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না জানিয়ে তিনি বলেন,আমরা রিকশা মালিকপক্ষের সাথে পর পর দুটি মিটিং করেছি।যেন গলি থেকে মূল রাস্তায় নেমে না আসে।এজন্য নিয়মিত অভিযান করা হচ্ছে।স্টিকার নিয়ে কারা চাঁদাবাজি করে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,৮-১০ ইজনের হিজড়াদের টিম স্টিকার করেছে,তাদের অধীনে ৩০০ থেকে ৫০০ গাড়ি থাকে।তাদেরকে চাঁদাবাজি না করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি এলাকার প্রভাবশালী সিন্ডিকেট রয়েছে।স্টিকার প্রতি ৫০-১০০টাকা নেওয়া হয়।জরিমানার বিষয়ে তিনি বলেন,ট্রাফিক আইন অমান্য করলে ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়।কেউ যদি বাড়াবাড়ি করে তাহলে এক সপ্তাহ ডামপিংয়ে আটক রাখা হয় বলে জানান তিনি।