রাজিবুল ইসলাম(স্টাফ রিপোর্টার)।
ভোলা জেলার বাপ্তা ইউনিয়ন এর উত্তর পশ্চিম চরনোয়াবাদ ৯নং ওয়ার্ডের প্রতারক ভন্ড খ্যাত মিজানুর রহমান যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে তালাক প্রদান করেন।মোঃ আবুল কাশেম এর বড় ছেলে প্রতারক মিজানুর রহমান এর আগেও দুইটা বিয়ের খবর গোপন রেখে তৃতীয় বারের মত বিয়ে করেন উম্মে হাফছা নামে এক নারীকে।(২১শে এপ্রিল ২০২৪ইং)রবিবার সকাল সাড়ে ১১ঘটিকার সময় ভোলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী নারী উম্মে হাফছা সহ তার পরিবার।এসময় সাংবাদিকদের উম্মে হাফছা বলেন,গত(২৬শে আগস্ট ২০২২ইং)তারিখে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক উভয়ের সম্মতিতে পারিবারিক ভাবে আমারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই।বিবাহের পর ২ থেকে ৩ মাস সুখে শান্তিতেই আমাদের দিন কাটতে লাগে।বিবাহের ২ থেকে আমার পরিবারের কাছ থেকে আমার স্বামী ধার স্বরূপ টাকা নিতে থাকে।এভাবে নিতে নিতে সে ৭০,০০০(সত্তর হাজার)টাকা ধার নেয়। ধারের টাকা ফেরত চাইলে সে যৌতুক হিসাবে আরও ২,০০,০০০(দুই লক্ষ)টাকা দাবি করেন।একপর্যায়ে আমরা টাকা দিতে অস্বীকার জানালে এই টাকার জন্য আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।আমার সুখের কথা চিন্তা করিয়া আমার পিতা মোঃ মহিউদ্দিন না পেরে এলাকাবাসীর কাছথেকে ধারদেনা করে ১,০০,০০০(এক লক্ষ)টাকা দেয়।আমি অন্তঃসত্তা থাকা কালীন আমাকে আমার বাবার বাড়ি রেখে আসে আমার স্বামী প্রতারক মিজানুর রহমান।সে আমার কোন খোঁজ খবর নেয় না এমনকি আমার ভরনপোষণও দেয়না।আমার ভরনপোষণ চাইতে গেলে আমাকে অকথ্যভাষায় গালাগালি করে মেরে ফেলার দেয়।অত্র বিষয় নিয়ে আমরা একালার গনমান্য বেক্তিবর্গের সাথে পরামর্শ করে একি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বার সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের মাধ্যমে মিমাংসা করার চেষ্টা করি।কিন্তু আমার স্বামী মিজানুর রহমান চেয়ারম্যানের আদেশকে অমান্য করে।চেয়ারম্যানের নির্দেশে লিগ্যাল এইডে একটি দরখাস্ত জমা দেই। সে লিগ্যাল এইডের আদেশকেও অমান্য করে চলে আসে। পরবর্তীতে সে আরো যৌতুক দাবি করে।যৌতুক না দিলে আমাকে তালাকের হুমকি প্রদান করে।বাধ্য হয়ে আমরা(২৫শে জানুয়ারী ২০২৪ইং)তারিখে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করি মামলা যাহার নাম্বার সি.আর নং-(৫০)২০২৪ইং ভোলা।মামলার পরবর্তী তারিখে সে হাজির হয় এবং আমাকে স্ত্রীর প্রাপ্য মর্যাদা দিবে বলে নন জুডিশিয়াল ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত ভাবে স্বাক্ষর করে নিয়ে আসেন।(২১শে মার্চ২০২৪ইং)তারিখে আমি ও আমার স্বামী শ্বশুর বাড়িতে রওনা দেই।ইতিমধ্যে আমাকে মোবাইলে টাকা লোড করার অজুহাত দিয়ে ফেলে চলে যায়।আমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সে না আসায় শ্বশুর বাড়িতে যাই।শ্বশুর বাড়িতে গেলে মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্বামী সহ তার পরিবার যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী,শ্বাশুরী,দেবর এবং সতীনসহ মিলে আমাকে বেধড়ক মারধর করে নিলাফুলা জখম করেন তারা সকলে।এসময় আমার ডাক চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাক্ষনিক,আমার বাবার বাড়িতে মারধরের সংবাদ দেয়,পরে সংবাদ পেয়ে আমার অভিভাবক তাদের কাছ থেকে আমাকে উদ্ধার করে এবং ভোলা সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।আমি ৩ দিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে থানায় হাজির হই।আত্মীয় স্বজনের পরামর্শে আমি গত(২৩শে মার্চ২০২৪ইং)তারিখে পুনরায় কোর্টে একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করি।বর্তমান মামলা চলমান অবস্থায় থাকাকালীন সে আমাকে বিনা নোটিশে একসাথে তিন তালাক প্রদান করে(৯ই এপ্রিল ২০২৪ইং)তারিখ উল্লেখ্য করে।অতএব,জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)কাছে আমি এর সঠিক বিচার কামনা করছি এবং আমাকে শারিরিক নির্যাতন করার অপরাধে প্রতারক মিজানুর রহমান ও তার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জোরদার দাবী জানাচ্ছি।