নিজস্ব প্রতিবেদক(ঢাকা)।
সাভারের আমিন বাজার ট্রাক টার্মিনালে বাড়তি টোকেন দিয়ে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ট্রাক টার্মিনালের ইজারাদারের বিরুদ্ধে।এতে ঢাকা উত্তর সির্টি কর্পোরেশন অতিরিক্তি অর্থ আদায়ের জন্য সতর্কীকরণ করলেও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে চাঁদা আদায় করে চলছে ইজারাদার হাজ্বি মোঃ ফয়েজ আহাম্মেদের বিরুদ্ধে।তবে এবিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে তথ্য উঠে আসে,সাভারের আমিনবাজার ট্রাক টার্মিনালে নির্ধারিত টোলের টোকেনের বাহিরে আলাদা টোকেন দিয়ে নাইট গার্ডের বাবদ অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করছে বলে জানা যায়।এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন তথ্য সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের(১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং)ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের দরপত্রের মাধ্যমে এক বছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের ইজারা পায় আমিন বাজারের নরসিংহপুর এলাকার বাসিন্দা হাজ্বী মোঃ ফয়েজ আহাম্মেদ। ইজারা কার্যাদেশে ধার্য্য উল্লেখ করা হয়েছে,(২০শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং)থেকে ২৪ ঘন্টার জন্য ট্রাক প্রতি চল্লিশ(৪০)টাকা করে টোল আদায় করবে ইজারাদার,একই সাথে ৫ শতাংশ ভ্যাটসহ ট্রাক প্রতি মোট(৪৬)ছেচল্লিশ টাকা আদায়ের অনুমতি পায় ইজারাদার হাজ্বী মোঃ ফয়েজ আহাম্মদ।অথচ নির্ধারিত টোলের বাহিরে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের জন্য চলতি বছরের(২৪শে মার্চ ২০২৪ইং)ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ইজারাদার ফয়েজ আহাম্মেদ’কে সতর্কিকরন একটি নোটিশ পাঠায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।এতে ইজারাদার ফয়েজ আহাম্মেদ’কে নোটিশের মাধ্যমে বলা হয়,ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নামে রশিদ বই ছাপিয়ে নাইটগার্ড বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায় চুক্তিতে কোথাও উল্লোখ নেই।এরকম কোনো অর্থ আদায় করা যাবে না এবং আদায় করলে বা প্রমাণিত হলে ইজারা বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে উল্লেখ্য থাকে।অপরদিকে ট্রাকের চালক ও হেলপারের তথ্য সুত্রে জানা যায়,ট্রাক ট্রার্মিনালে প্রবেশ বা অবস্থানের জন্য ভ্যাটসহ ছেচল্লিশ(৪৬)টাকার একটি রশিদ প্রধান করেন।এছাড়াও নাইটগার্ড বাবদ টোকেন দিয়ে আরো ত্রিশ টাকা এবং রাতে নৈশপ্রহরীকে আরো ১০/২০ টাকা বাড়তি চাঁদা দিতে হয়।তাছাড়া ট্রার্মিনালে ট্রাক প্রবেশ করলেই সর্বমোট আশি টাকা দিতে হয়।মকাউন্টার থেকে দুইটি টোকেন দেয়।এরপরে আবার রাত হলে নাইটগার্ডদের আরো কিছু টাকা দিতে হয় ট্রাকের নিরাপত্তার কারণে।রাতে টাকা না দিলে অনেক সময় ট্রাকের মুল্যবান জিনিস চুরি হয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। গতকাল রাতে ৪ঘটিকার দিকে ট্রাক নিয়ে ট্রার্মিনালে এসেছি। প্রবেশ করে ৯০ টাকা দিয়েছি। সেখান থেকে দুইটি টোকেন দিয়েছে বলে জানান তিনি।আমিন বাজার ট্রাক টার্মিনালের নামে ট্রাকের থেকে রশিদ দিয়ে টাকা উত্তলন করে মনির নামে এক ব্যক্তি।তিনি বলেন,এখানে নাইটগার্ড ও বিদ্যুৎ বিল বাবদ ৩০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।ট্রাকের থেকে বিভিন্ন সময় মুল্যবান অনেক কিছু চুরি হয়ে যায়।তাই ট্রাক মালিক সমিতি’র সাথে কথা বলে নাইটগার্ডের জন্য টাকা নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।অন্যদিকে আমিন বাজার ট্রাক টার্মিনালের ইজারাদার ফয়েজ আহাম্মেদকে মুঠোফোনে প্রশ্ন করলে তিনি গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন,টার্মিনালে কোনো বাউন্ডারী নেই এবং নিরাপত্তার বিষয়ে আমার সাথে কোনো চুক্তি হয়নি।ওই খানে ট্রাক মালিক সমিতি নিরাপত্তার জন্য ওই টাকা আদায় করছে।ওই খানে ট্রাক মালিক সমিতি নিচ্ছে ৩০ টাকা বলে জানান তিনি।এবিষয়ে আমিনবাজার ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আখিল উদ্দিন খন্দকারের কাছে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় বিষয় প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,আমরা ট্রাক থেকে কোনো টোকেন দিয়ে চাদা আদায় করিনা।এছাড়া ইজারাদারের সাথে আমাদের এমন কোনো কথা বা চুক্তিও হয়নি।ইজারাদার আমাদের কাছে ছেচল্লিশ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও পঞ্চাশ টাকা নিচ্ছে বলে জানান তিনি।এবিষয়ে ঢাকা উত্তর সির্টি কর্পোরশনের মহাব্যবস্থাপক(পরিবহন)উপসচিব সামলা আক্তার খুকীর কাছে আমিনবাজার ট্রাক টার্মিনালের চাদা অতিরিক্ত চাদা আদায়ের বিষয় প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,আমাদের কাছে অতিরিক্ত চাদা আদায়ের বিষয়টি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে,আমরা এবিষয়ে তদন্ত করেছি,তাছাড়া এর আগে একটি সতর্কীকরণ নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে।পুনরায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।