সাভারের বিরুলিয়ায় মাদক ব্যবসায়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও অপর মাদক ব্বসায়ী স্বপনের স্ত্রী পপি আক্তারের গ্রেপ্তারের জেরে গোয়েন্দা পুলিশের সোর্স সীমা বেগম(৪০)নামক এক নারীকে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এঘটনায় এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।গত বৃহস্পতিবার(৬ই জুন ২০২৪ইং)বিকেল ৩ ঘটিকার দিকে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজনগর এলাকার মাদক ব্যবসায়ী স্বপনের বাড়ির পাশ থেকে নিহত নারী সিমা বেগমে(৪০) মরদেহ মাটিচাপা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।এর আগে গত(২ই জুন ২০২৪ইং)নিখোঁজ হন সীমা বেগম। নিহত সীমা বেগম(৪০)মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার মুন্সীকাদিরপুর গ্রামের বাসিন্দা।তার স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর খান। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা হামিদ মিয়াকে মাদকসহ গ্রেপ্তারে ডিবি পুলিশকে সহযোগিতা করেছিলেন বলে জানা যায়।গ্রেপ্তারকৃতর নাম সাইফুল ইসলাম।তিনি সাভারের ইমান্দিপুরের মাদক ব্যবসায়ী।সাইফুলের দেওয়া তথ্যমতে ঘটনাস্থল থেকে নিহত সীমা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।পুলিশের তথ্য সুত্রে জানা যায়,গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসাবে মাদক কারবারি সাইফুল ইসলাম’কে আটক করা হয়।পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার বক্তব্য ও তথ্য অনুযায়ী বিরুলিয়ার খনিজনগর এলাকা থেকে সীমা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেন সাভার মডেল থানার পুলিশ ও ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)।এদিকে নিহতের মেয়ে তানিয়া আক্তার বলেন,গত(১৩ই মে ২০২৪ইং)ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি)একটি টিম স্বপনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন।এসময় মাদকসহ স্বপনের স্ত্রী ও যুবলীগ নেতা হামিদকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।এসময় স্বপন পালিয়ে যায়।এর কিছু দিন পর মা আমাকে ফোন দিয়ে বলেন,স্বপন লোকজন ঠিক করেছে তাকে মারার জন্য।এর দুইদিন পর থেকেই আমার মা নিখোঁজ।আজ স্বপনের বাড়ির পাশ থেকে আমার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছেন পুলিশ।তিনি আরও বলেন,ডিবির অভিযানে আমার মা নাকি সহযোগিতা করেছিলেন।ডিবি নাকি আমার মায়ের কাছে স্বপনের বাড়ি কোথায় জানতে চেয়েছিল।আমার মা স্বপনের বাড়ি পুলিশকে দেখিয়ে দিয়েছিল।এরই জের ধরে স্বপন,রেজাউল ও সাইফুলসহ আরও অজ্ঞাননামা কয়েকজন মিলে আমার মাকে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়েছেন বলে জানান নিহত সিমা বেগমের মেয়ে তানিয়া আক্তার।এবিষয়ে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক(ওসি)রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লবের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমাদের জানামতে নিহত সীমা বেগম(৪০)র‌্যাব,পুলিশ ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসাবে কাজ করতো।আমরাও মাদক উদ্ধারে তার সহযোগিতা নিয়েছি।সীমা বেগমের নিখোঁজের খবর পেয়ে আমরা নিরব ভুমিকায় তদন্ত শুরু করি।এ ঘটনায় হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করছি।এছাড়াও গত(১৩ই মে ২০২৪ইং)গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজনগর এলাকা থেকে বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুল হামিদ ও স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী স্বপনের স্ত্রী পপি আক্তারকে(২৩)’কে মাদক সহ গ্রেফতার করে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)।এরই জেরে তাকে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দিয়ে রেখেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে,এছাড়াও এই হত্যার সাথে জরিত এক বেক্তিকেও আটক করতে সক্ষম হয়েছি।বিষয়টি আরো খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।