চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে অতর্কিত হামলায় আওয়ামী লীগের এক নেতা ও তার সহযোগী নিহত হয়েছেন।এই ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার(২৭শে জুন ২০২৪ইং)রাত আনুমানিক সারে ৮ ঘটিকার দিকে উপজেলার রানিহাটি কলেজ মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মৃত এন্তাজ আলীর ছেলে মোঃ আব্দুল সালাম(৫০)।তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের বর্তমান সদস্য ও উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।হামলায় শিকার অপরজন শিবগঞ্জ উপজেলার রানিহাটি ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল মান্নানের ছেলে মোঃ মতিন।তিনি হরিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।এছাড়াও এ ঘটনায় আহতরা হলেন মোঃ রহিম বাদশা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এডু।তাদের প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে(আরএমসিএইচ)ভর্তি করা হয়।এ ঘটনায় হামলায় শিকার আহত মোঃ রহিম বাদশা’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,সন্ধ্যার পরে কলেজ মোড়ে আঃ সালামসহ ৪/৫ জন একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন।এ সময় ১৫ থেকে ২০ জনের একটি বাহিনী পুকুরপাড় দিয়ে উঠে এসে কিছু বুঝার আগেই অতর্কিত হামলা করে।এছাড়া হামলাকারীরা প্রথমে ককটেল নিক্ষেপ করেন পরে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় হামলাকারীরা।পরে গুলিবৃদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই জেলা পরিষদের বর্তমান সদস্য ও উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সালাম(৫০)নিহত হন।এ সময় সালামকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা আঃ মতিন নামক আরেক বেক্তি ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হন।পরে আব্দুল মতিন’কে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নেওয়া সময় পথেই তার মৃত্যু হয়।আহত রহিম বাদশা আরও বলেন,হামলাকারীরা গুলি করার পর চাইনিজ কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এবং পরে ককটেল বিস্ফোরণ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন,নয়ালাভাঙ্গা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু-পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছে।এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার মোঃ ছাইদুল হাসান (পিপিএম)জানান,দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলায় রানিহাটি কলেজ মোড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন।এখবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে,এছাড়া বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।এদিকে,ঘটনার পরপরই নিহত আওয়ামী লীগ নেতার সমর্থকরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে ও আগুন জ্বালিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে।এতে আটকা পড়ে শতাধিক যানবাহন।পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে আধাঘণ্টা চেষ্টার চালিয়ে রাস্তা যান চলাচলের উপযোগী করেন বলে জানান তিনি ।