ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য গুজরাটে একটি ছয়তলা ভবন ধসে অন্তত ২০ আহত হয়েছেন।ভবনের অনেক বাসিন্দা ধসের কারণে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।গত শনিবার(৬ই জুলাই২০২৪ইং)এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে,অবিরাম বৃষ্টির কারণে রাজ্যের সুরাট জেলার শচীন পালি গ্রামে বিকেলে এ ছয়তলা ভবন ধসের ঘটনাটি ঘটেছে।তবে এক নারীকে ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানে উদ্ধার অভিযানে অবস্থানরত থাকা কর্মকর্তারা।এদিকে ওই ভবনে ৩০টি ফ্ল্যাট ছিল।ঘটনার সময় ৫-৬টি পরিবার ভবনে অবস্থান করছিল।এনডিটিভির খবরে আরও বলা হয়,শচীন পালি গ্রামের ওই ভবনটি আট বছর আগে নির্মিত। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া কিছু ছবিতে দেখা যায়,কংক্রিটের স্ল্যাবগুলো ধ্বংসস্তূপের ওপর পড়ে রয়েছে।ঘটনার পরপরই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভবনে নিচে আটকে পড়াদের সন্ধান ও উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে,উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিত মানুষদের খুঁজে ফিরছেন।তাছাড়া উদ্ধার কাজে সাহায্য করতে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের একটি দলকে ডাকা হয়েছে বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।এব্যাপারে ভারতে পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য গুজরাটে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন,ভবনটি খুব বেশি পুরনো নয় কিন্তু জরাজীর্ণ। ভবনের বেশিরভাগ ফ্ল্যাট খালি ছিল।সুরাট জেলা প্রশাসক ডা.সৌরভ পারঘি এনডিটিভিকে বলেন,আমরা কিছুক্ষণ আগে এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করেছি। আরও চার বা পাঁচজন ভেতরে আটকে থাকতে পারে।আমরা ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স(এনডিআরএফ)ও স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সকে(এসডিআরএফ)অভিযান জারি রাখতে বলেছি।আশা করছি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমরা আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।সুরাটের পুলিশ কমিশনার অনুপম সিং গেহলট গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,আমরা আশা করছি আটকে পড়াদের আজ রাতের মধ্যে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।আমরা ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে তাদের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি।কী কারণে ধস হয়েছে তা তদন্ত করবে প্রশাসন,তাছাড়া এই ধসে যাওয়া ভবনের নিচে আমাদের ধারনা অনুযায়ী ১৫ থেকে ২০ জনের মত আটকে আছে বলে জানান তিনি।